শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

ইয়াছিন বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হলো মিতালী মার্কেটের দু’টি ভবন

প্রকাশিত: ১৮ মে ২০১৭   আপডেট: ১৮ মে ২০১৭

যুগের চিন্তা ২৪ ডটকম (সিদ্ধিরগঞ্জ) : নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ প্রশাসন ও মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক শাহ নিজামের হস্তক্ষেপে অবশেষে দীর্ঘ ১৬ মাস পর সাত খুন মামলা থেকে অব্যাহতী পাওয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী ইয়াছিন বাহিনীর কবল থেকে মিতালী মার্কেটের দু’টি ভবন দখল মুক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বেলা ১১টায় সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ২নং ওয়ার্ডের মিজমিজি সাহেবপাড়া এলাকাস্থ মিতালী মার্কেটের কর্তৃপক্ষকে নিয়ে শাহ্ নিজাম হাজী ইয়াছিন বাহিনীর দখলে রাখা ৮নং ও ১৩নং ভবনটি বুঝিয়ে দেন। এর আগে গত মঙ্গলবার (১৫ মে) মিতালী মার্কেটের দোকান মালিক মিজানুর রহমান ও রাসেল গংদের দায়েরকৃত অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপর মঈনুল হক (পিপিএম) এর কাছে জমা দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান (পিপিএম)। প্রতিবেদনে বলা হয় হাজী ইয়াছিন ও তার লোকজন অসৎ উদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে আর্থিক লাভবান হওয়ার মানসে কোন প্রকার আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে মিতালী মার্কেটের ৮নং ও ১৩নং ভবনে অবস্থিত ৩’শ ৬০টি দোকান হতে গত২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারী হতে জোড়পূর্বক দোকান ভাড়া আদায় করে আসছে। তার ও তার লোকজনের এহেন অন্যায় কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আদালতের আশ্রয় নেওয়ার জন্য মিতালী মার্কেট সমিতি ও দোকান মালিকদেরকে পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান (পিপিএম) মিতালী মার্কেটের অভিযোগের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, অনুসন্ধানকালে বাদী ও বিবাদীগংদের একাধিকবার তারিখ নির্ধারন করে নোটিশ প্রদান করা হয়। নির্ধারিত তারিখ সমুহে উপস্থিত দরখাস্তকারী মিতালী মার্কেটের দোকান মালিক মিজানুর রহমান ও রাসেলগং, মিতালী মার্কেট দোকানদার সমিতির সভাপতি মো: রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো: আব্দুল মতিন ভুইয়া, সাধারন সম্পাদক হাজী আমির হোসেন এবং কোষাধ্যক্ষ হাজী জয়নাল আবেদীনদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করি এবং সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্ট পর্যালোচনা করি। কিন্তু হাজী ইয়াছিনগং নোটিশ প্রাপ্তির পরও নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত হয়নি। পরবর্তীতে অনির্ধারিত তারিয়ে (২৬ এপ্রিল) হাজী ইয়াছিন উপস্থিত হয়ে জানায় যে তারা অভিযোগে উল্লেখিত মিতালী মার্কেটের ৮ ও ১৩নং ভবনে থাকা দোকানের মালিকদের পাওনা মাসিক দোকান ভাড়ার টাকা গত ২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারী হতে তিনি এবং তার লোকজন উত্তোলন করে আসছে। কারণ হিসেবে জানায় যে, যদিও হাজী ইয়াছিনগং উক্ত ভবনের দোকান ঘর নির্মাণ করেনি কিন্তু তারা উক্ত দোকানের জমির প্রকৃত মালিক জনৈক কমর আলীর নিকট থেকে জমি ক্রয় করেছেন। তার এ দাবীর স্বপক্ষেও কোন ডকুমেন্ট প্রদর্শণ করতে পারেনি। হাজী ইয়াছিন আরো জানায় যে, অভিযোগকারী দোকান মালিকগন তাকে কিছু টাকা প্রদান করলে দোকানের মাসিক ভাড়া তার লোকজন উত্তোলন বন্ধ করবে এবং প্রকৃত দোকান মালিকগন স্ব স্ব দোকানের মাসিক ভাড়া উত্তোলন করতে পারবেন। এতে হাজী ইয়াছিনগং বা তার লোকজন বাঁধা প্রদান করবেনা।
এই বিভাগের আরো খবর