বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

না.গঞ্জ জেলা পরিষদের বিতর্কিত প্রধান নির্বাহীর বদলি

প্রকাশিত: ১৪ মে ২০১৭   আপডেট: ১৪ মে ২০১৭

যুগের চিন্তা ২৪ ডটকম : নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের বহুল বিতর্কিত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদ মামুন চৌধুরীকে পিরোজপুর জেলা পরিষদে বদলি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ১১ মে উপসচিব জুবাইদা নাসরীন বদলির আদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদে প্রেরণ করেছেন। আদেশে খালেদ মামুন চৌধুরীকে মঙ্গলবার (১৫ মে) নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ থেকে অবমুক্ত হতে বলা হয়েছে। অন্যথায় ১৬ মে তাৎক্ষণিক তার অবমুক্ত গণ্য হবে। খালেদ মামুন চৌধুরী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি না হলেও নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের একাধিক সূত্র এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। খালেদ মামুন চৌধুরীর বিরুদ্ধে নারী কর্মচারীকে যৌন হয়রানি ও কুপ্রস্তাব দেয়া এবং ঘুষ দাবির অভিযোগে মামলা ও জিডি রয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৩ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদ মামুন চৌধুরী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী কর্মচারীকে যৌন হয়রানি করতে কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগে ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি হয়েছে। ওই নারী কর্মচারী জিডিটি করেন। ফতুল্লা মডেল থানার জিডি নং ৬৬৪/১৬। এ ঘটনায় ওই নারী কর্মচারীকে খালেদ মামুন চৌধুরী মা ডেকে বিষয়টি মীমাংসা করলেও জিডি এখনো উঠানো হয়নি। জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ জালাল বলেন, জিডির তদন্ত করা হয়েছে। ওই নারী চাইলে আইনগত সহযোগিতা নিতে পারেন। এরপর ২৬ জানুয়ারি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদ মামুন চৌধুরীসহ দুই জনের বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ এনে স্থানীয় যুবলীগ নেতা আদালতে একটি মামলা করেছেন। আদালত তাদের দুইজনকে ১৫ দিনের মধ্যে সশরীরে হাজির হয়ে এর ব্যাখ্যা দিতে বললেও তারা সময়ের আবেদন করেছেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী জাকারিয়া হাবিব এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ফতুল্লার জামতলা এলাকার ৩/১ হাজি আ. রহমান সড়কের বাসিন্দা শাহ জাহানের ছেলে শাহ ফয়েজ উল্লাহ। তিনি নিজ বাড়ির সামনে ১৯.৫ শতাংশ জমি জেলা পরিষদ থেকে লিজ নিয়ে টিনশেড দোকান ঘর তৈরি করে তা ভাড়া দিয়েছেন। এতে লিজ ভঙের মিথ্যা অভিযোগ এনে গত বছরের অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে শাহ ফয়েজ উল্লাহকে জেলা পরিষদে ডেকে নিয়ে পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদ মামুন চৌধুরী অবৈধভাবে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। অন্যথায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে লিজ নবায়ন না করে লিজ বাতিলের হুমকি দিয়েছেন। এতে শাহ ফয়েজ উল্লাহ জমিতে নির্মাণাধীন স্থাপনা উচ্ছেদে ১২ লাখ টাকা ক্ষতির আশঙ্কায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদ মামুন চৌধুরীকে ২ লাখ টাকা দিতে স্বীকার করেন। তাতে রাজি না হয়ে দাবিকৃত ৫ লাখ টাকা এনে দিতে শাহ ফয়েজ উল্লাহকে দুই মাসের সময় দেন খালেদ মামুন চৌধুরী।
এই বিভাগের আরো খবর