বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

প্রচন্ড তাপদাহে মশার উৎপাতে নগরীর জনজীবন অতিষ্ঠ

প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৭

যুগের চিন্তা ২৪ ডটকম : একদিকে প্রচন্ড তাপদাহ, অন্যদিকে মশার উৎপাত।  সব মিলিয়ে চরম অস্বস্তিতে কাটছে নগরীর জনজীবন। প্রাচ্যের ডান্ডি নারায়নগঞ্জ ব্যবসা-বানিজ্যের প্রাণকেন্দ্র। একসময় পরিচ্ছন্ন ও গোছানো সুন্দর শহর হিসেবে নারায়ণগঞ্জের বেশ খ্যাতি ছিল। আজ সেসব অতিতে পরিণত হয়েছে। প্রায় লক্ষাধিক মানুষের বসবাস এই শহরে। যেখানে গড়ে উঠেছে নানা শিল্প-কলকারখানা গার্মেন্টস ইন্ডাষ্ট্রি থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় আরও নানামূখী স্থাপনা। তবে এই নগরীর বর্জ্য বা ময়লা আবর্জনা অপসারণে এসবের নেই কোন যথাযথ ব্যাবস্থাপনা ও নজরদারি। এর ফলে নগরজুড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে মশা। আর মশার উৎপাতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি হাজীগঞ্জ, পাঠানতুলি, জামতলা, ইসদাইর, মাসদাইর, দেওভোগ, গলাচিপা, ডনচেম্বার, উওরচাষারা, নিতাইগঞ্জ, ভোলাইল, সিদ্ধিরগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ। যত্রতত্র নগরীর বর্জ্য বা ময়লা আবর্জনা অপসারণ ও অনুনোমুদিত স্থাপনা গড়ে ওঠার কারণে বিপর্যস্ত হচ্ছে পরিবেশের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে ওঠা হোটেল ও রেস্তোরার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে ইচ্ছামত খোলা জায়গায়। যা পচে গলে দূর্ঘন্ধ সৃষ্টি করে জন্ম দিচ্ছে মশার-মাছির প্রজনণ ক্ষেত্র। এছাড়া শহরের অধিকাংশ মাছ বাজার ও সব্জি বাজার সমূহে ময়লা-বর্জ্য ফেলার কোন কন্টেইনার নেই। যে যার মত যেখানে খুশি সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলে মশার প্রজণন ক্ষেত্র বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে বেশী  দায়ী। মশার যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ শহরবাসী অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের কাছে। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মশার বংশবিস্তার রোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। মশাবাহিত রোগ বিশেষ করে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম হিসাবে পত্রিকায় বিঞ্জাপন, লিফলেট বিতরন ও পোস্টার লাগানো হয়। তারা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছেন মশার উপদ্রুপ থেকে শহরবাসীকে রক্ষার জন্য। শহরের দেওভোগ এলাকার এক বাসিন্দা যুগের চিন্তা ২৪ কে জানান, তাদের অভিযোগ সিটি কর্পোরেশনের মশা নিধনের জন্য বরাদ্দ টাকা সিংহভাগই ব্যবহার করা হচ্ছেনা। যে কারণে প্রতিদিন সন্ধ্যা নামলেই বাড়িঘর মশার দখলে চলে যায়।  মশার ভয়াবহ উপদ্রুপে সবচেয়ে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। ফলে মশার কামড়ে বিভিন্ন রোগের আশঙ্কায় ভুগতে হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকার মানুষজন অভিযোগ করেছেন তাদের এলাকায় প্রতিদিন মশা মারার ঔষধ ছিটানো হচ্ছেনা। দিনের ও রাতে সমান তালে মশার যন্ত্রনায় জনজীবন অতিষ্ঠ। কয়েল, মশারী, ঔষধ স্প্রে কোন কিছুতেই মশাকুলকে নিয়ন্ত্রনে আনা যাচ্ছে না। নাসিক ১৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সফিউল্লা শফি প্রধান যুগের চিন্তা ২৪ ডটকমকে বলেন, কয়েক দিন ধরে এলাকার লোকজন মশার উৎপাত বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন। মশা নিয়ন্ত্রনে ধারাবাহিক ভাবে কাজ করা হচ্ছে। মশার লার্ভা ধ্বংস করতে সকালে তরল ওষুধ ছিটানো হচ্ছে আর উড়ন্ত মশা মারতে বিকালে ফগার মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে। খোকা/এস/এস
এই বিভাগের আরো খবর