শিগগিরই ঢাকা-তাসখন্দ ফ্লাইট, খোলা হবে দূতাবাসও

প্রকাশিত: ২০:৩৯, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

শিগগিরই ঢাকা-তাসখন্দ ফ্লাইট, খোলা হবে দূতাবাসও

এমন কথা জানিয়ে আরো একটি সুখবর দিয়েছেন উজবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী সরদার উমরজাকভ। তিনি জানান, বাংলাদেশে দূতাবাস খোলার বিষয়টিও সক্রিয়ভাবে পর্যালোচনা করছে তাদের সরকার। একাত্তর টিভি

 সোমবার রাজধানী তাসখন্দে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক শেষে এই তথ্য জানানো হয়েছে।  বাংলাদেশের সাথে এক সময় উজবেকিস্তানের বিমান যোগাযোগ ছিলো। উজবেকিস্তান হয়ে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে যাতায়াত করতেন বাংলাদেশিরা। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত এই দেশটিতে বাংলাদেশের দূতাবাস আছে। কিন্তু গেলো ৫০ বছরেও বাংলাদেশে দূতাবাস খোলেনি দেশটি। ফলে, কেউ উজবেকিস্তান যেতে চাইলে ভিসা নিতে হয় দিল্লি থেকে। এজন্য সময় ও ব্যয় দুই ভোগান্তি পোহাতে হয় দেশটিতে ভ্রমণে যেতে ইচ্ছুকদের। এবার দুই দেশের মধ্যে আবারও বিমান চালু করতে উজবেকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী সরদার উমরজাকভকে অনুরোধ জানালো ঢাকা। তাসখন্দে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল দেখা করেন তার সঙ্গে। বাণিজ্যে আগ্রহী উজবেকিস্তানও বাংলাদেশের সব প্রস্তাবেই সাড়া দিয়েছে। উমরজাকভ বলেন, ‘আমরা বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। দূতাবাস শিগগিরই চালু করা যায় কিনা সেটিও ভাবা হচ্ছে। সরাসরি বিমান চালু হলে দুই দেশের মানুষই উপকৃত হবে। ইসলামী ট্যুরিজম নিয়েও কথা হচ্ছে। উজবেক প্রতিনিধিরা শিগগির বাংলাদেশ সফরে যাবে। এরপর সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে আমরা যৌথ অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রগুলো ভেবে দেখবো’। বাংলাদেশ যে এখন বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল, সেটি মানছেন উজবেকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রীও। তাই যোগাযোগের ক্ষেত্র বিস্তারে আগ্রহী দেশটির সরকারও।