শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

তৈমূরের বিরুদ্ধে দুদক দায়েরকৃত আপীল কার্য তালিকা বহির্ভুত করার আদেশ

প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ৫ মে ২০১৭

যুগের চিন্তা ২৪ ডটকম : ২০০২ ইং সালে বি.এন.পি সরকার আমলে সরকারের নির্দেশক্রমে বিআরটিসি’র মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ বেবী টেক্সী মালিক-চালকদের সি.এন.জি বেবী টেক্সী বিতরন মামলার আসামী থেকে তৎকালিন চেয়ারম্যান এ্যাডঃ তৈমূর আলম খন্দকারকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছিল। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুতকারী সংগঠন ঢাকা অটো রিক্সা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এবং তালিকা প্রস্তুতকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলবে। জনাব বিচারপতি মোঃ রুহুল কুদ্দুস এবং জনাব বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট ডিভিশন ব্যাঞ্চ ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ ইং তারিখে ফৌজদারী মিস ১১২১৪/২০০৮ মামলার প্রদত্ত্ব এক রায়ে উক্ত আদেশ প্রদান করেন। হাই কোর্টের উক্ত রায়ের আদেশ স্থগিত চেয়ে দুর্নীতি দমন সংস্থার চেয়ারম্যান ১৬ মার্চ ২০১৭ ইং তারিখে এ্যাডঃ তৈমূর আলম খন্দকারের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল মিস পিটিশন নং- ৩৭৩/২০১৭ এ্যাপিলেট ডিভিশনে দায়ের করেন। উল্লেখ্য, ১লা সেপ্টম্বর/২০০২ ইং সাল থেকে বিএনপি সরকার রাজধানীকে বায়ু দূষণমুক্ত করার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরে চালিত টু ষ্ট্রোক ইঞ্জিন বিশিষ্ট থ্রি হুইলার অটোরিক্সা, অটো টেম্পু ও অটোট্রাক চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে নিষিদ্ধ ঘোষিত যান বাহনের মালিক শ্রমিকরা আন্দোলনের কর্মসূচী দিলে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মধ্যস্থতায় বিআরটিএ এবং মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাথে ২০/৮/২০০২ ইং তারিখে একটি চুক্তিনামা স্বাক্ষরিত হয়। উক্ত চুক্তিনামায় বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান এ্যাডঃ তৈমূর আলম খন্দকার এর উপর তালিকা প্রস্তুতের কোন দায়িত্ব অর্পন করা হয় নাই এবং সিএনজি চালিত বেবী টেক্সী উচ্চ মূল্যে বিতরণের কোন প্রমাণ এ্যাডঃ তৈমূর আলম খন্দকারের বিরুদ্ধে দূর্নীতি দমন কমিশন প্রমাণ করতে পারে নাই। মহামান্য হাই কোর্ট নিন্ম আদালতের নথি তলব করে এ মর্মে নিশ্চিত হন যে, বেবী টেক্সী বিতরনে অনিয়মে এ্যাডঃ তৈমূর আলম খন্দকারের সংশ্লিষ্টতা ছিলনা। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে ১/১১ সরকারের টাক্স ফোর্সের প্রভাবে দূর্নীতি দমন কমিশন পল্টন থানার ৪৮(৮)২০০৭ ধারা ৪০৯/৪২০/৪০৬১০৯ দঃ বিঃ এবং ১৯৪৭ সনের দূর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় গ্রেফতার করে চার্জশীট প্রদান করলে ২০০৮ ইং সনে এ্যাডঃ তৈমূর আলম খন্দকার কারারুদ্দ অবস্থায় ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৬১(ক) ধারায় মামলাটি কোয়াশ করার জন্য মোশন দায়ের করে। সম্প্রতি দূর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনক্রমে মাননীয় প্রধান বিচারপতির নির্দেশে মামলাটি হাই কোর্ট কার্যতালিকায় উপস্থাপিত হলে পর পর কয়েক দিন শুনানীয়ান্তে নিন্ম আদালতের নথি পর্যালোচনা করে হাই কোর্ট অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা চলার আদেশ দিয়ে এ্যাডঃ তৈমূর আলম খন্দকারকে মামলার দায় হইতে অব্যাহতি প্রদান করেন। এ্যাডঃ তৈমূর আলম খন্দকারকে অব্যাহিত দেয়া হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দুদক চেয়ারম্যান আপীল দায়ের সাপেক্ষে হাই কোর্টের রায় স্থগিত করার আবেদন ২৮ মার্চ ২০১৭ ইং শুনানী করলে চেম্বার জজ বিচারপতি মাহমুদ হোসেন হাই কোর্টের রায়ের কার্যক্রম স্থগিত না করে মামলাটি কার্যতালিকা বর্হিভুত করার আদেশ প্রদান করেন। দুদকের পক্ষে শুনানী করেন সৈয়দ মামুন মাহমুদ এবং অপর পক্ষে এ্যাডঃ তৈমূর আলম খন্দকার নিজের পক্ষে নিজেই শুনানীয়ান্তে আপীল কার্যতালিকা বর্হিভুত করার জন্য চেম্বার জজ নির্দেশ প্রদান করেন। সংবি/এস/এস
এই বিভাগের আরো খবর