শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

কুতুবপুর সড়কটি বেহাল

প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৭

যুগেরচিন্তা২৪.কম: শিল্পনগরী ফতুল্লার সবচেয়ে ব্যস্ততম কুতুবপুর সড়কের বেহাল দশা। গতকালের সামান্য বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত হয়ে পড়েছে এই সড়কটি। ফলে সড়কটি দিয়ে যান চলাচলে বিঘœ ঘটছে। এতেকরে দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। জানাগেছে, দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যস্ততম সড়কটির কোন সংস্কার কাজ না হওয়ায় খানাখন্দকে ভরে গেছে। ওয়াপদাপুল থেকে ফ্রেন্ডস ডাইং এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ হয়ে শান্তিনগর, নয়ামাটি, লাকিবাজার, মিরনগর, বউবাজার পর্যন্ত এই সড়কের অবস্থা একেবারেই বেহাল। সরজমিনে দেখাগেছে, পশ্চিম হাজীগঞ্জ, এনায়েতনগর, দক্ষিন এনায়েত নগর, কুতুবপুর, কুতুবপুর উত্তর-দক্ষিন, হাজীগঞ্জ, শান্তিনগর, নয়ামাটি, লাকিবাজার, মিরনগর, বউবাজারসহ কয়েটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এই সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। এছাড়া সড়কটির আশেপাশে মিল কারখানা গড়ে ওঠার কারনে সড়কটি দিয়ে ভারি ভারি যানবাহন যাতায়াত করে। এই সড়কটির আশেপাশে রয়েছে ফকির নিটওয়্যার, খাজা এষ্টেট, ফ্রেন্ডস ডাইং এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ, অন্তু ডাইং এন্ড কালার, নিট ফেয়ার গার্মেন্টস, ফোম ফ্যাক্টরীসহ স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। ফলে এই সড়কটি খুবই গুরুত্ব বহন করে। কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষসহ যান চলাচলের জন্য এই সড়কটি ছাড়া অন্য কোন বিকল্প রাস্তাও নেই।স্থানীয়রা জানান, এই রাস্তাটি মেরামতের জন্য আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুল আলম সেন্টুর ধারস্থ হয়ে কোন লাভ হয়নি। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবী জনপ্রতিনিদির কাছে উপেক্ষিত হয়েছে। কোন সাড়া পাওয়া যায়নি এই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে। তাঁরা আরো জানান, এমপি একেএম শামীম ওসমানের নজরদারী না থাকার কারনে এই সড়কের পুরোটাই বেহাল অবস্থা।ফ্রেন্ডস ডাইং এন্ড ইন্ডষ্টিজের মালিক বিশিষ্ট শিল্পপতি হাজী মোঃ নাজমুল হোসাইন জানান, গত দেড় বৎসর পূর্বে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একে এম শামীম ওসমান সড়কটির কার্পেটিং করে দেয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়ে ছিলেন। এখন পর্যন্ত কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। কবে নাগাদ এই সড়কের উন্নয়নের কাজ হবে বলা মসকিল। কুতুবপুরের এই সড়কটি দিয়ে কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার মানুষ চলাচল করে। সড়কটি এই এলাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির মালামাল বহন করা বড় বড় লরি ট্রাক চলাচলের জন্য সড়কটিতে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানিতে ডুবে যায় রাস্তাটি। এতে করে কর্মজীবিদের দুর্ভোগের শেষ নেই। এই সড়কটির বেহাল দশার কারনে স্কুল, মাদ্রসা, কলেজের শিক্ষার্থীদের কষ্টের শেষ নেই। তবে সবচেয়ে কষ্ট হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।
এই বিভাগের আরো খবর