বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

দক্ষিণ সুদানে সেনা-বিদ্রোহী সংঘর্ষে দেশ ছাড়ছে মানুষ

প্রকাশিত: ৮ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ৮ এপ্রিল ২০১৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  সরকারি বাহিনীর হামলার পর দক্ষিণ সুদানের পাজোক শহর থেকে ৬ হাজারেরও বেশি লোক প্রতিবেশী উগান্ডার লামওয়ো জেলায় আশ্রয় নিয়েছে। সম্প্রতি জাতিসংঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।ইউএনএইচসিআর জানায়, ইকুইটোরিয়া অঞ্চলের পাজোক শহরের লোকজন জীবন বাঁচাতে প্রথমে জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছিল। পরে নিরাপত্তার জন্য তারা সীমানা পেরিয়ে উগান্ডায় আসতে শুরু করেছে।গত সোমবার পাজোক শহরে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর পরে সেখানকার লোকজন পালাতে শুরু করে। শহরটি আগে শান্তিপূর্ণ ছিল। গত কয়েক মাস ধরে সেখানে সংঘাত চলছে।ভুক্তভোগীদের বরাত দিয়ে ইউএনএইচসিআর জানায়, সেনাবাহিনী নির্বিচারে সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালায়। পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয় তাদের প্রিয়জনদের। যারা পালাতে পারেননি তারাই সেনাদের হাতে নিহত হয়েছেন। এমনকি বৃদ্ধ বা পঙ্গুরাও রেহাই পাননি।পাজোক শহর ছেড়ে পালানো স্থানীয় এক যাজক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সেনাবাহিনী ট্যাংক নিয়ে শহরে ঢোকার পর হঠাৎ গোলাগুলি শুরু হয়। মানুষ যে যেদিকে পারে পালায়।ওই যাজক ও আঞ্চলিক অ্যাংলিকান বিশপ ওরিঙ্গা বানার্ড দাবি করেন, সংঘর্ষে অন্তত ১৩৫ জন নিহত হয়েছেন। তবে সংবাদ মাধ্যম এর সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।উগান্ডায় বর্তমানে ৮ লাখ ৩২ হাজার মানুষ দক্ষিণ সুদানীয় শরণার্থী আছে। ২ লাখ ৭০ হাজার শরণার্থী নিয়ে বিডিবিডি শরণার্থী শিবির মাত্র কয়েক মাসেই বিরান এলাকা থেকে পৃথিবীর বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরে পরিণত হয়েছে।অন্যদিকে সরকারের মুখপাত্র মাইকেল মাকুয়েই সেনা অভিযানের কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা শহরটি মুক্ত করতেই সেনাবাহিনী অভিযান চালায়। ফলে বিদ্রোহীদের সাথে সাথে স্থানীয় বেসামরিক লোকজনও পালাচ্ছে। সশস্ত্র সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটবেই মন্তব্য করেন মাইকেল মাকুয়েই।বুধবার দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী ইউনিমিস বলেছে, গত সপ্তাহে অন্তত দুই বার সরকারি বাহিনী তাদের পাজোকে প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছে। তারা তাদের দায়িত্ব পালনে সরকারকে সহায়তা করার অনুরোধ করেন। সূত্র: আল জাজিরা
এই বিভাগের আরো খবর