শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

র‌্যাবের অভিযানে নারীসহ অপহরনকারী চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৭

যুগের চিন্তা ২৪ ডটকম : র‌্যাব ১১’র অভিযানে নারীসহ অপহরনকারী চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলো বরিশাল মেহন্দীগঞ্জ এলাকার রুহুল আমিনের মেয়ে সুমাইয়া আকতার সুমি ওরফে সাথি (২০), গাজীপুর জয়দেবপুর এলাকার আব্দুর রহিমের মেয়ে নিলা বেগম (৩৮), ময়মনসিংহ ঈশ্বরগঞ্জ এলাকার তারা মিয়ার ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে সাগর, পটুয়াখালী দশমিনা এলাকার আব্দুর রশিদ হাওলাদারের ছেলে মো. মাহবুব হাওলাদার (৩৬), চাঁদপুর হাজীগঞ্জ এলাকার মো. কুদ্দুস খাঁর ছেলে মো.ইসমাইল (২৩), নোয়াখালী সেনবাগ এলাকার মৃত সেকান্দারের ছেলে  মো. সেলিম (৩২)। অপহরণ ও কৌশলে আটকে জিম্মী করে অশ্লীল ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইলিংসহ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মঙ্গলবার ভোরে ফতুল্লা ও ডেমরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে র‌্যাব-১১’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাকিল আহমেদের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেএর সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বরিশাল মেহেন্দীগঞ্জ এলাকার দড়িচর খাজুরিয়া নিছারিয়া ফাজিল মাদ্রসার অধ্যক্ষ আনিছুর রহমান (৫০) গত ১৩ মার্চ সকালে প্রাতিষ্ঠানিক কাজে রাজধানীতে আসলে পূর্ব পরিচিত সুমাইয়া আকতার সুমি ওরফে সাথীর সঙ্গে গুলিস্থানে তার দেখা যায়। বিকালে তাকে নিয়ে সাথী মা বাবার সঙ্গে দেখা করার জন্য নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা দেলপাড়া কুতুবপুর এলাকার বাসায় নিয়ে যায়। বাসায় নিয়ে তাকে আটকে ৫জন পুরুষ ও ৩জন নারী তার সঙ্গে কথা বলে এবং এক পর্যায়ে মারধর শুরু করে কিছু আপত্তিকর ছবি তুলে। পরে তাকে জিম্মী করে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং পরিবারকে ফোন করে ৩ লাখ টাকা বিকাশ করার জন্য বলে। আনিছুর রহমান তার স্ত্রী রোজিনাকে মোবাইল ফোনে জানালে ১৫ মার্চ ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠানো হয়। পরে অপহরণকারীরা আরো টাকার জন্য আনিছুর রহমানের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয়ে ১৫ মার্চ দুপুর ২টায় আনিছুর রহমানকে অপহরণকারীরা বাসা থেকে সিএনজি করে নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় নামিয়ে দেয়। ওই ঘটনায় আনিছুর র‌্যাব-১১কে লিখিতভাবে অভিযোগ জানায়। অভিযোগের সূত্র ধরে র‌্যাব ১১’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাকিল আহমেদ এবং সিনিয়র এএসপি মোঃ আলেপ উদ্দিন এর নেতত্বে একটি দল বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। পরে অপহরনকারীদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে মঙ্গলবার ভোরে ফতুল্লা ও ডেমরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী চক্রের ওই সদস্যদের গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণকারীরা অপহরণ ও বিকাশের মাধ্যমে ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায়ের কথা স্বীকার করেছে। এছাড়াও এ চক্রটি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তি দেয় ৭ থেকে ৮ বছর ধরে তারা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের আশেপাশের এলাকায় অপহরণ করে ও বিভিন্ন কৌশলে আটকে রেখে এবং জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছে । সংবি/এস/এস
এই বিভাগের আরো খবর