শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

জেলা জুড়ে তীব্র তাপদাহ, লোডশেডিং : অতিষ্ট জনজীবন

প্রকাশিত: ২২ মে ২০১৭   আপডেট: ২২ মে ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪ ডটকম) : গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরমে মানুষের প্রান প্রায় ওষ্ঠাগত। রাতে কিছুটা বৃষ্টি হলেও সকাল হলেই দেখা যায় গ্রীষ্মের প্রকৃতরূপ। কিন্তু এখন রাতেও একই অবস্থা। আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর তার সাথে সাথে তাল মিলিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। প্রতিদিনই  ১০ থেকে ১২বার লোডশেডিং হচ্ছে। কখনও এক ঘন্টা আবার কখনও দশ মিনিট ধরে লোডশেডিং হয়ে থাকে। বার বার এইভাবে বিদ্যুৎ যাওয়া আসার  কারনে ইলেক্ট্রনিক্স  সরঞ্জাম ক্ষতি হচ্ছে। প্রচন্ড অসহনীয় এই গরমের তীব্রতার সাথে লোডশেডিং এর প্রতিযোগিতায় অতিষ্ট হয়ে পড়ছে নগরীর জনজীবন। গরমে অতিষ্ট হয়ে অনেকেই কিনছে এয়ারকুলার, জেনারেটর, চার্জার ফ্যান। এছাড়া বিভিন্ন ঠান্ডার মেশিন। কিন্তু এতেও নিস্তার মিলছে না গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে। গরমের প্রখরতা প্রাকৃতিক হলেও দিনে রাতে ঘনঘন লোডশেডিংয়ে নগরীর সাধারণ মানুষ চরমবিরক্ত ও ক্ষুব্ধ। যদিও এবার রমজানে ১০ হাজার মেগওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘোষনা দিয়েছে সরকার। কিন্তু এখনও এ বিষয়ে কোনো প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে না সরকারের পক্ষ থেকে। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। সামনেই রোজা এভাবে চলতে থাকলে দুর্ভোগের সীমা থাকবেনা নগরবাসীর। তথ্য অনুযায়ী, ২১ মে রোববার সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ৭ হাজার ৭০০ মেগওয়াট। কিন্তু এখনও ঘাটতি রয়েছে ১৩০০ মেগওয়াট। বেসরকারী হিসাব অনুযায়ী ১৫০০-১৭০০ মেগওয়াটের ঘাটতি রয়েছে। আর এ কারনেই নারায়ণগঞ্জ জেলাসহ দেশব্যাপি লোডশেডিং এর মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। সামনে রোজা যদিও বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস জানিয়েছেন  রমজানে ইফতার- সেহরী ও ইফতারির সময় লোডশেডিং থাকবে না। তবুও আশ্বাসিত নয় সাধারন মানুষ। সামনে রোজার মাস এমন করে যদি গরম আর  লোডশেডিং এ সমস্যা চলে তবে সমস্যার অন্ত থাকবেনা। যদিও বলছে রোজার মাসে লোডশেডিং হবে না। তবুও কথাটা কতটুকু সত্য তা তখনই জানা যাবে। এমনইভাবে ক্ষোভ প্রকাশের মাধ্যমে জানান ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকার বাসিন্দা আসাদ মিয়া। উকিলপাড়ার বাসিন্দা গৃহিনী তসলিমা বেগম যুগের চিন্তা ২৪ ডটকমকে জানান, গত কয়েকদিন যাবৎ দিনে লোডশেডিং বেশি মাত্রায় হচ্ছে। অতিরিক্ত গরম আর বিদ্যুৎ এর আসা যাওয়া যেমন মেজাজ খারাপ করে দিচ্ছে। আবার জিনিসপত্রের ক্ষয় ক্ষতিও হচ্ছে। সারাদিনে মনে হয় বেশি হলে দুই ঘন্টা ভালোভাবে বিদ্যুৎ থাকে। আর সবসময় আসা যাওয়ার মধ্যেই থাকে। রাতে কয়েকদিন যাবৎ অতিরিক্ত পরিমাণ লোডশেডিং হচ্ছে আবার গরম তো আছেই। এছাড়া ফতুল্লা, বন্দর, মদনপুর, হাজিগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁসহ দেশের প্রতিটি অঞ্চলেই চলছে গরমের লোডশেডিং।
এই বিভাগের আরো খবর