অবৈধ সংযোগে ‘আলোকিত’ ফুটপাত
প্রকাশিত: ৪ মার্চ ২০১৭ আপডেট: ৪ মার্চ ২০১৭
যুগের চিন্তা ২৪ : শহর জুড়ে ফুটপাতগুলোর দোকানে বিদ্যুৎ চুরি করে বাতি জ্বালানো হচ্ছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় ফুটপাতের হকাররা এই বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহার করছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।
নারায়ণগঞ্জ শহরের ফুটপাতের উপর হকারদের প্রায় ১ হাজার দোকান রয়েছে বলে জানা গেছে। হকাররা তাদের দোকানগুলো সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খোলা রাখে। দিনের বেলায় তাদের দোকানগুলোতে বিদ্যুতের প্রয়োজন পড়েনা। তাই রাতেই তারা বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকে।
তাদের দোকানগুলোর সামনে বিদ্যুতের লাইন ঝুলানো থাকে। সন্ধ্যার সময় তারা ঐ লাইনগুলো ব্যবহার করে থাকে। শহরের ফুটপাতগুলোতে প্রতিদিনই দেখা যাচ্ছে তারা বিদ্যুচালিত লাইট ব্যবহার করছে।
বিদ্যুৎ লাইন কোথা থেকে পাচ্ছেন জানতে হকারদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন থেকে তারা সরাসরি বিদ্যুতের তার দিয়ে এই লাইন নিয়ে রেখেছে।
এই লাইনগুলো অবৈধ কিনা জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের উল্টোদিকে মুক্তি জেনারেল হাসপাতালের সামনের হকাররা জানায়, লাইনগুলো অবৈধ। তবে আমরা বিদ্যুৎ বিল দিয়ে লাইন চালাই। কিভাবে বিল দেন, আর কে এই বিল নেন? জানতে চাইলে হকাররা জানায়, বিদ্যুৎ বিভাগে কর্মরত কর্মচারিদের একজন এই বিদ্যুৎ লাইনের বিল প্রতি দিন নিয়ে যায়।
কত করে বিল দেন জানতে চাইলে তারা জানান, লাইট প্রতি প্রতিদিন ২০ টাকা কারো কাছে ৩০ টাকা করে দিতে হয়। বিল নিয়ে কোন রশিদ প্রদান করে কিনা জানতে চাইলে, হকাররা জানায় ফুটপাতের দোকানে তো রশিদ দেয়া হয় না।
আপনাদের মুক্তি জেনারেল হাসপাতালের সামনে কতটি দোকান আছে জানতে চাইলে জানায়, ২০ টি দোকান রেগুলার বসে। এছাড়া মাঝে মাঝে আরও বাড়ে। এই হিসেবে মুক্তি জেনারেল হাসপাতালের সামনে থেকেই বিদ্যুৎ বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের প্রতি দিন বিদ্যুৎ চুরি করে আয় হচ্ছে ৬ শ’ টাকা। মাসে যা দাড়াঁয় ১৮ হাজার টাকা।
বছরে বিদ্যুৎ চুরি থেকে তাদের আয় শুধুমাত্র মুক্তি জেনারেল হাসপাতালের সামনের ২০ টি দোকান থেকে ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা। হকার ও বিভিন্ন সুত্র থেকে জানাগেছে শহরে প্রায় ১ হাজার দোকান রয়েছে ফুটপাতে। সেই হিসেবে শহরের ফুটপাতের ১ হাজার দোকান থেকে বিদ্যুৎ চুরি বাবদ বছরে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা চুরি বাবদ আয় করছেন ২১ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
এই বিদ্যুৎ চুরির টাকা বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন ছাড়াও প্রশাসনের কিছু অসাধু লোকজন ও এখান থেকে ভাগ পেয়ে থাকেন বলে হকার সুত্র থেকে জানা গেছে। কয়েক কোটি টাকার বিদ্যুৎ চুরি প্রশাসনের লোকজন আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছেন। আর এই চুরি হয়ে যাওয়া বিদ্যুতের বিল সিস্টেম লস দেখিয়ে জনগনের কাছ থেকে আবার সেই টাকা নেয়া হচ্ছে।
- এসপি হারুনকে সরানোর নেপথ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগ
- নারায়ণগঞ্জের লজ্জা ঢাকলেন শামীম ওসমান
- সমাবেশ করার অনুমতি চায়নি শামীম ওসমান
- শামীম ওসমানের শঙ্কা ছিলো ভিকিকে ক্রসফায়ার দেয়া হতে পারে
- ডা.শাহনেওয়াজ, তাঁর স্ত্রী, মেয়ে, জামাতা করোনায় আক্রান্ত
- কাকে ভয় দেখালেন শামীম ওসমান
- ৫ ইউনিয়নকে নাসিকে যুক্ত করা হচ্ছে : মেয়র আইভী
- জাপা নেতা পিজা শামীমকে মারধর করলেন সেলিম ওসমান (অডিওসহ)
- যুগান্তরের প্রার্থী তালিকা ভিত্তিহীন : গণপূর্তমন্ত্রী
- মে মাসে না’গঞ্জের পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ !
- ছাত্রজীবনের সেই তিনজনেই এখন এমপি, ডিসি, এসপি (ভিডিও)
- ‘গাইড বই’ চালাতে স্কুলে স্কুলে ঘুষ!
- পুরোনো রূপে ফিরছে নারায়ণগঞ্জ
- কেন্দ্রে যাচ্ছেন আইভী
- করোনায় আক্রান্ত দুই সহোদর থাকেন না’গঞ্জ, বাড়ি মুন্সিগঞ্জ