বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

জনগণ আতঙ্কে নব্য সন্ত্রাসীর ভয়ে: ওরা এখনো রয়ে গেছে কুতুবপুরে !

প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার : কুতুবপুরে একের পর এক শীর্ষ সন্ত্রাসীরা ক্রস ফায়ার ও প্রতিপক্ষের দ্বারা হত্যার শিকার হলেও ভয় জেনো পিছু ছাড়ছে না কুতুবপুর বাসীর। নিহত দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মেছের, সন্ত্রাসী তোফাজ্জল, কিলার মনির, সন্ত্রাসী বিল্লাল, কিলার মোক্তার, সন্ত্রাসী মানিকসহ অসংখ্য সন্ত্রাসী ইতিমধ্যে হত্যার শিকার হয়েছেন। তবে বর্তমানে উল্লেখিত ইউনিয়নে বেশ কয়েকজন আলোচিত সন্ত্রাসী রয়েছেন তাদের মধ্যে রসুলপুর-নিচিন্তাপুরে আক্তার গং, দেলপড়া-ঢেউয়া তলা এলাকায় আলাউদ্দিন হাওলাদারের শেল্টারে ছাত্রলীগ নামধারী নেতা রাসের মোল্লা ও শাহী মহল্লায় মীর হোসেন মীরু এখনো রয়ে গেছেন বহাল তবিয়তে। এক সন্ত্রাসীর মৃত্যুর খবরে আনন্দিত না হয়ে জনগন আতংকে থাকেন নব্য সন্ত্রাসীর উত্থানে। এক সন্ত্রাসীর মৃত্যুর পর অপর সন্ত্রাসীর পথের কাঁটা দূর হয়। তবে ভোগান্তি আর আতংক পিছু ছাড়ে না কুতুপুর ইউনিয়নবাসীর।ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়ন দিন দিন অশান্ত হয়ে পড়ছে। যখন তখন হামলা-মামলা আর জবর দখল কুতুবপুরে রুটিনে পরিণত হয়েছে অনেক আগে থেকেই। ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৭ ইং সাল পর্যন্ত কুতুবপুর ইউনিয়নে এ যাবৎ কালে ক্রস ফায়ারসহ প্রতিপক্ষের দ্বারা হত্যার শিকার হয়েছেন প্রায় অর্ধশত সন্ত্রাসী ও সাধারণ মানুষ। যা জেলার অন্য যে কোন থানা এলাকার ইউনিয়নের চাইতে অনেক বেশি। অভিযোগ রয়েছে আধিপত্য বিস্তারে ক্ষমতাসিন দলের জেলা ও থানা পর্যায়ের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা পর্দার অন্তরালে থেকেই কলকাঠি নাড়েন। আর নেতাদের আশ্বাসের কারণেই একে অপরের সাথে জড়িয়ে পড়েন দ্বন্ধ সংঘাতে। শুরু হয় এলাকার আধিপত্য বিস্তারে একে অপরের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হামলা। কুতুবপুর ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৬ হাজার। এই ইউনিয়নে বসবাসকারীদের বেশির ভাগই দেশের অন্য জেলা থেকে এসে বসতি স্থাপন করেছেন। মূলত এসব কারণে উল্লেখিত ইউনিয়নে কারো প্রতি নেই কারো শ্রদ্ধাবোধ। আর এই সুযোগটিই কাজে লাগায় সুবিধা বাদী জেলা ও থানার ক্ষমতাসীন দলের নেতৃবৃন্দ। কুতুবপুর ইউনিয়নটি সবচেয়ে বেশি আলোচিত মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার জন্য। ঢাকার কদমতলী থানার শেষ সীমানা নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানার শুরু। মূলত জুরাইন ও পোস্তগোলার শীর্ষ অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ীরা জোন হিসিবে কুতুবপুরকে ব্যবহার করেন। আর ঐ সমস্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সেকেন্ড ম্যান হিসেবে রয়েছেন কুতুবপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন। কুতুবপুরের নামধারী নেতারা জেলার প্রভাবশালী নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে উদ্ভট পরিস্থিতি মোকাবেলায়। আর এ কারনেই কুতুবপুর সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হচ্ছে দিন দিন। এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
এই বিভাগের আরো খবর