শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

মুক্তিযুদ্ধের সব সংগঠককে প্রাপ্য সম্মান দেওয়ার আহ্বান

প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

যুগেরচিন্তা ২৪.কম: মুক্তিযুদ্ধের সব সংগঠককে প্রাপ্য সম্মান এবং স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী।বুধবার সন্ধ্যায় সংসদে এ আহ্বান জানান তিনি। এ সময় সংসদে সভাপতিত্ব করেন ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। ডেপুটি স্পিকার বলেন, আপনি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। কিন্তু নোটিশ দিয়ে কোনো বিধিতে আনলে ভালো আলোচনা হতো, হয়তো সংসদ গ্রহণ করত।সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাহজীব আলম সিদ্দিকী বলেন, ইতিহাসের পূর্ণতাই হলো ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ।স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত গ্রুপ ক্যাপ্টেন শামসুল আলম বীর উত্তমকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করায় অভিনন্দন জানান তাহজীব আলম সিদ্দিকী। তিনি বলেন, অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি ভারাক্রান্ত  হৃদয়ে বলতে চাই, স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য এ যাবৎ মূলত উর্দিপরা লোকজনই পুরস্কৃত হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান খাটো করার কোনো অবকাশ নেই। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ দীর্ঘ আন্দোলন, সংগ্রাম এবং রাজনৈতিক ত্যাগ ও তিতিক্ষার ফসল। আর এই সুদীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের মহানায়ক ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার নির্দেশেই বাঙালির অধিকার আদায়ের পটভূমি তৈরি করেছিলেন তারই আস্থাভাজন ৬০ দশকের ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতাকর্মী ও পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। তাদের মধ্যে আছেন শেখ ফজলুল হক মণি, সিরাজুল আলম খান, প্রয়াত আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ, নূরে আলম সিদ্দিকী, শাহজাহান সিরাজ, আ স ম আব্দুর রব ও প্রয়াত আবদুল কুদ্দুস মাখন। উর্দি পরা লোকরা বিভিন্ন সময়ে বীর শ্রেষ্ঠ, বীর প্রতীক, বীর বিক্রমসহ বিভিন্ন খেতাব পেলেও এসব সংগঠকদের কোনো সরকারই সম্মানিত করেনি। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম সদস্য পুরো উত্তাল মাস জুড়েই জাতিকে চূড়ান্ত সশস্ত্র বিপ্লবের জন্য তৈরি করায় যাদের ছিল অবিস্মরণীয় ভূমিকা, সেই চার খলিফার অন্যতম আবদুল কুদ্দুস মাখনদের ভাগ্যে কিছু জোটে না।
এই বিভাগের আরো খবর