বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

মাদকের গুরু সোর্স আল আমিনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সিদ্ধিরগঞ্জবাসী

প্রকাশিত: ৪ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ৪ মার্চ ২০১৭

যুগের চিন্তা ২৪ ডটকম (সিদ্ধিরগঞ্জ) : পুলিশের সোর্স মাদক সমাট্র আল আমিন এখন সিদ্ধিরগঞ্জে মাদকের গুরু হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। থানা এলাকার প্রতিটা ওয়ার্ডে তার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে মাদক ও দেহ ব্যবসা করাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোর্স আল আমিন এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও নিরীহ লোককে গ্রেফতার করানোর ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করছে। তার চাহিদা মতো চাঁদা না দিলে পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে গ্রেফতার করিয়ে রিমান্ডে আনার হুমকি দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। পুলিশের কতিপয় অর্থ লোভী কর্মকর্তারা বাণিজ্য করার জন্য সোর্স আল আমিনের কথা মতে যাকে তাকেই গ্রেফতার করছে। সর্বোপরি সোর্স আল আমিনের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে সিদ্ধিরগঞ্জবাসী। সোর্স আল আমিনের হাত থেকে রক্ষার জন্য জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছে সিদ্ধিরগঞ্জবাসী। জানা গেছে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি, মৌচাক, সানাড়পাড়, মুক্তিনগর, বাগানবাড়ি, সাইলোগেইট ও কদমতলী এলাকাবাসী সোর্স আল আমিনের হয়রানীর শিকার হচ্ছে সবচেয়ে বেশী। মিথ্যে তথ্য দিয়ে নিরীহ মানুষকে গ্রেফতার করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে পুরো অর্থ পুলিশের দারোগাদের না দেয়ায় কয়েক দারোগা তাকে থানা এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয়। পরে সে এধরনের অপকর্ম আর করবেনা বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে জসিম ও ফয়সাল দারোগার সাথে পুনরায় কাজ শুরু করলেও একের পর এক বিভিন্ন লোকজনকে চাঁদার দাবিতে হুমকি ধমকি প্রদান করছে বলে বহু অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত কয়েকদিন আগে নিমাইকাশারী এলাকার এক নিরাপরাধ লোককে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করিয়ে ৪০ হাজার টাকা আদায় করার পর এলাকার লোকজন ফুঁসে উঠে। আল আমিন সিদ্ধিরগঞ্জ কবরস্থান এলাকায় ভাড়া থাকে। জানা গেছে, আল আমিন পুলিশের সোর্স হওয়ার সুবাধে বুক ফুলিয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। টেকনাফ থেকে ইয়াবা ও চান্দিনা থেকে ফেনসিডিলের চালান এনে সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে কাছ থেকে বেশী দামে বিক্রি করছে। বেশী দামে কোন মাদক ব্যবসায়ী তার কাছ থেকে ফেনসিডিল না কিনলেই পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করায়। তার কাছ থেকে বেশী দামে মাদক দ্রব্য কিনা না কিনা নিয়ে বহু মাদক বিক্রেতার সাথে আল আমিনের বিভেদ লেগে রয়েছে। সাত খুনের ঘটনার পর পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা উঠানোতে তৎকালিন ওসি আলাউদ্দিন তাকে গ্রেফতার করে মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরন করে। আল আমিন যে সব মাদকের আস্তানা থেকে দৈনিক ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, মিজমিজি বড় কবরস্থানের সড়ক পাড়ার চান্দুর আস্তানা, আজিবপুর রেল লাইন ও বাগান বাড়ির কুট্টির দুটি আস্তানা, মোহাম্মদীয়া হোটেলের পিছনের রেল লাইনে লঞ্চ সোহেলের আস্তানা, মুক্তি নগরের রাজুর আস্তানা, মিজিমিজির বিয়ার সুমনের আস্তানা, সি আই খোলার হৃদয়ের আস্তানা, পাগলা বাড়ির কাইল্লা জাকিরের আস্তনা, বিহারী পট্টির চুন্নির আস্তানা, আদমজীর কাদরের আস্তানা, কদমতলীর কানা আক্তারের আস্তানাসহ আরো অনেক মাদক ব্যবসায়ীদের আস্তানা। মাদক ব্যবসা ছাড়াও সোর্স আল আমিনের শেল্টারে বিভিন্ন ফ্ল্যাট বাসায় যুবতী মেয়ে রেখে দেহ ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ জানা গেছে। থানা পুলিশের অসাধু অফিসাররা সোর্স আল আমিনের দেহ ব্যবসার আস্তানায় গিয়ে যুবতীদের সাথে ফুর্তি করে থাকে। ফলে ওই সব পুলিশ অফিসাররা তার কথা মতে গ্রেফতার বাণিজ্য করছে। আল আমিনের মত একজন অপরাধিকে পুলিশ জামাই আদর দিয়ে নিরীহ নিরপরাধ লোকদের গ্রেফতার করায় এলাকায় বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ। পুলিশের প্রতি আস্তা হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। তাই সোর্স আল আমিনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সিদ্ধিরগঞ্জের সাধারণ মানুষ।
এই বিভাগের আরো খবর