মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ৫ ১৪৩০

সোনারগাঁয়ে ক্ষুদ্র সমবায় সমিতির খপ্পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছে ব্যবসায়ীমহল

প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৭

যুগের চিন্তা ২৪ ডটকম (সোনারগাঁ) : সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার ক্ষুদ্র সমবায় সমিতি নামে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ীরা ওই প্রতিষ্ঠান থেকে চড়া সুদে ঋন নিয়ে এ পর্যন্ত ২০ জন ব্যবসায়ী বাড়ী ও ভিটেমাটি বিক্রি করে সর্বশান্ত হয়েছেন। অপর দিকে মানুষকে ফাঁদে ফেলে তাদের কাছ থেকে চড়া সুদ নিয়ে কোটি কোটি টাকার হাতিয়ে নিচ্ছেন ভুয়া সমিতির মালিক জাহাঙ্গীর। ভুক্তভোগীরা জানান, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাড়িমজলিস গ্রামের যুব বেপারী মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় সমবায় সমিতির নিবন্ধন ছাড়াই অবৈধভাবে ক্ষুদ্র সমবায় সমিতি নামে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। ব্যবসায়ীদেরকে সমবায় সমিতির নিয়মবহির্ভূতভাবে চড়া সুদে ঋন দেন। ব্যবসায়ীরা সময়মতো সুদ পরিশোধ করতে না পারলে তাদের জমিজমা ও ভিটেমাটি বিক্রি করে জোরপূর্বক আদায় করা হয়। সম্প্রতি যুব বেপারীর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন মোগরাপাড়া চৌরাস্থার প্রভাবশালী লোকদের ছত্রছায়ায় ব্যবসায়ীদেরকে প্রতি লাখে ১০ হাজার টাকা সুদ দেওয়ার চুক্তিতে ঋন দিয়ে এ ব্যবসা চালিয়ে আসছে। তাদেরকে ঋনের সুদ পরিশোধ করতে গিয়ে মোগরাপাড়া চৌরাস্থার আশপাশের ২০ জন ব্যবসায়ী সর্বশান্ত হয়েছেন। এছাড়াও  ট্রাক ষ্টেশনে চাদাঁবাজী করে প্রতিদিন মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন জাহাঙ্গীর হোসেন। কিছুদিন পূর্বেও সবজির ব্যবসা করে যার নুন আনতে পান্তা ফুরাতো সেই চাদাঁবাজ বর্তমানে কয়েকটা বাড়ি গাড়ীর মালিক বনে গেছেন। কয়েকটা ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করে যাচ্ছে তাই অনেকের কাছে সে জেএমবি জাহাঙ্গীর নামে পরিচিত। তার কাছ থেকে ঋন নিয়ে সুদ দিতে না পেরে ভিটেমাটি হারিয়ে সর্ব শান্ত হয়েছেন সোনারগাঁ পৌরসভার কাউন্সিলর দুলাল মিয়া, চিলারবাগ গ্রামের বাসিন্দা মীর হোসেন, আদমপুরের সুফিয়ান মিয়া, গোহাট্টা গ্রামের জাহের মিয়া, পিরোজপুরের জয়নাল মিয়া, হাবিবপুর গ্রামের সেন্টু মিয়া সহ ২০ জন ব্যবসায়ী। তাই সাধারন ও সচেতন মানুষ দুদকের অনুসন্ধানে তার এই অবৈধ আয়ের রহস্য উদঘাটন করার দাবি জানান। সোনারগাঁ পৌরসভার কাউন্সিলর দুলাল মিয়া ও চিলারবাগ গ্রামের বাসিন্দা মীর হোসেন জানান, ক্ষুদ্র সমবায় সমিতির নামে ভুয়া সমিতির মালিক জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে ঋন নিয়ে সুদ দিতে না পারায় সে প্রভাবশালী লোকদের দিয়ে আমাদের বসত বাড়িটি জোরপূর্বক লিখে নেয়। জাহাঙ্গীর হোসেন সমবায় সমিতির নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রতি লাখে ১০ হাজার টাকা সুদ নেয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আনিসা জাহান বলেন, সমবায় সমিতির নিবন্ধন ছাড়া কোনো ব্যক্তির আর্থিক লেনদেন সম্পূর্ন অবৈধ ও চড়াসুদে ঋন দেওয়া বেআইনী কাজ। কেউ এ ধরনের কাজ করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করা হবে।
এই বিভাগের আরো খবর