শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

লোকবল সংকটে ভিক্টোরিয়া জেনারল হাসপাতাল : স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত

প্রকাশিত: ২১ মে ২০১৭   আপডেট: ২১ মে ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪ ডটকম) : চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় অবহেলিত হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতাল। মানুষ নানা সমস্যায় নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এখানে আসে। অথচ সরকারি এ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। বিশেষ করে লোকবল সংকটে এ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। এখানে রোগীদের সেবা দেয়ার কথা থাকলেও রোগীদের ধোলাই চলে প্রতিনিয়ত। রোগীরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তাদের কাঙ্খিত সেবা পায় না বরং তাদেরকে নাজেহাল অবস্থায় পড়তে হয়। এখানকার রোগীদের জন্য নেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ভাল খাবার পরিবেশনের জন্য নেই পর্যাপ্ত বাবুর্চি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য নেই প্রয়োজনীয় সুইপার। পিওনের বাড়তি কাজ করছে হাসপাতালের নার্সরা। এ হাসপাতাল যেন না এর স্বর্গরাজ্য। এত না এর ভিতরে কোনরকমে হাসপাতালে রোগী সেবা চলছে। অনুসন্ধান করে জানা গেছে, এই হাসপাতালে সিকিউরিটি গার্ডের কোনো পদ নেই। এমএলএসএস এর ২০টি পদের মধ্যে ১১ টি পদ শূণ্য। সুইপারের ১৬টি পদের মধ্যে ৭টি পদ শূূণ্য। বাবুর্চির ৬টি পদের মধ্যে ৪টি পদ শূণ্য। এরকম শূণ্য পদের সমাহার নিয়ে কল্পকাহিনীর কোন খুড়া বুড়ির মতো খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে এই হাসপাতাল। নারায়ণগঞ্জের এই হাসপাতালে কোনো সিকিউরিটি গার্ডের পদ নেই। যার দরুণ অনেকটা নিরাপদেই যে কোন অপরাধী তাদের অপরাধ কার্যক্রম চালাতে পারে এই হাসপাতালে। তাছাড়া এই হাসপাতালে কোন সিকিউরিটি গার্ড না থাকায় রোগীসহ সবাই এক অজানা আতঙ্কের মধ্যে থাকে। যার জন্য ব্যহত হচ্ছে রোগীদের চিকিৎসা সেবা এবং হুমকির মুখে পড়েছে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দুইজন মাত্র বাবুর্চি নিয়ে কোনরকমে ১০০ জন রোগী সহ স্টাফদের রান্নাবান্না চলছে। যার কারণে এই হাসপাতালের রোগীসহ স্টাফদের খাদ্য সংক্রান্ত সমস্যার শেষ নেই। যদিও এই হাসপাতালে ৬টি বাবুর্চির পদ আছে। তবুও কোন এক অজানা কারণে বাকি পদগুলো পূরণ করা হচ্ছে না। এরকম ভাবে হাসপাতালের সুইপারের ১৬টি পদের মধ্যে ১১টি পদ ই শূণ্য। এ অবস্থায় হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক নার্স বলেন, আমাদের অভাব অনেক।  কিন্তু এই সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি। এতে আমাদের নানা ধরণের সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু কি আর করবো। এখানকার উর্ধ্বতন প্রশাসনের ব্যাপার তারা আরো জনবল বৃদ্ধি করবে কি না। এ ব্যাপারে রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা উপায় না পেয়ে এই হাসপাতালে আসে। তবে হাসপাতালটি আরো আধুনিক সুবিধা সম্বলিত হলে ভাল হয়। তা না হলে নারায়ণগঞ্জের এই হাসপাতাল আর রোগী সেবার জন্য তেমন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে না। তাই অনতিবিলম্বে হাসপাতালের জনবল বৃদ্ধি করতে হবে। এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ এহসানুল হক জানান, আমরা স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় যতটুকু সম্ভব রোগীদের সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। এতে আমাদের যদিও কষ্ট হচ্ছে তবুও আমরা আমাদের আপ্রান চেষ্টা করছি রোগীদের সর্বোত্তম সেবা দেয়ার জন্য। লোকবল নিয়োগ জনপ্রশাসন অধিদপ্তরের আওতায়। তারা যখন ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিবে তখনই জনবল নিয়োগ হবে। তবে কবে নাগাদ এই জনবল নিয়োগ হবে তা নিশ্চিত করে তিনি জানাতে পারেননি।
এই বিভাগের আরো খবর