বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

ছাত্রফেডারেশন নেতা শুভ দেবের হামলাকারীরা চিহ্নিত হলেও পুলিশ নিরব

প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪ ডটকম) : ছাত্র ফেডারেশন নেতা শুভ দেবের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নির্দেশদাতা ও হামলাকারীরা চিহ্নিত হলেও পুলিশ নিরব ভুমিকা পালন করছে। পুলিশের নিরব ভুমিকায় ছাত্র ফেডারেশনের নেতাকর্মীসহ সাধারন শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ। ২৬ এপ্রিল রাতে শুভ দেবের উপর হামলার সময় তার সাথে থাকা বন্ধুরা ৪ হামলাকারীকে চিহ্নিত করে। হামলাকারীরা হলো, রাজ্জাক, আলমগীর, জুম্মন ও নাজিম। এ সময় তাদের সাথে অজ্ঞাত আরো কয়েকজন হামলাকারী ছিল। তারা স্থানীয়ভাবে এলাকার মুরুব্বীদের কাছে হামলার স্বীকরোক্তি দিয়ে জানায় ইসদাইর বাজারের খাইরুল ও দেলোয়ারের নির্দেশেই শুভদেবের উপর এ হামলা চালিয়েছে। এ বিষয়ে জেলা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান রিচার্ড জানান, হামলাকারীরা জানিয়েছে দীর্ঘদিন যাবৎ খাইরুল ও দেলোয়ার শুভদেবের উপর হামলার পরিকল্পনা করে আসছে। তবে ঠিক কী কারনে তাদের দিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে সে ব্যপারে কিছুই জানাতে পারেনি তারা। তবে তিনি পুলিশের ভুমিকাকে রহস্যজনক বলে মনে করছেন। সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী করে হামলার শিকার শুভদেব বলেছেন, ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কথা বলা, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অবস্থান নেয়ার কারনেই এ হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। আমি দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রাখি বিধায় আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আহ্বান জানাব, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে তারা যেন তাদের প্রতি আস্থার মূল্যায়ন করেন। উল্লেখ্য যে, গত ২৬ এপ্রিল রাতে আল জয়নাল ট্রেড সেন্টারের সামনে হামলাকারীদের একজন এসে শুভদেবের নাম জিজ্ঞেস করে । তিনি নাম বলতেই ১০/১২ জন সন্ত্রাসী অতর্কিত তার উপর হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারধর করে। এ সময় সাথে থাকা বন্ধুদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে চাষাড়া রেলওয়ে ষ্টেশন দিয়ে সন্ত্রাসীদের দৌড়ে পালিয়ে যায়।  পরে মারাত্মক জখম অবস্থায়  তাকে উদ্ধার করে খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনার পর ২৬ এপ্রিল রাতেই ছাত্র ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সদর থানায় অভিযোগ জানানো হয়। এ দিকে শুভ দেবের উপর হামলার ঘটনায় ২৭ এপ্রিল শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে প্রগতীশীল ছাত্র জোট। সমাবেশে অভিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবী জাননো হয়। অন্যথায় সর্বস্তরের ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারী উচ্চারণ করা হয় সমাবেশ থেকে। অন্যদিকে, এ ঘটনায় সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি ,নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান, বাসদ সমন্বয়ক নিখিল দাস, গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক তরিকুল সুজন, সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েল, নারীনেত্রী পপি রানী সরকার সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এই বিভাগের আরো খবর