শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সুুন্দরবন রক্ষায় গণভোট দাবি

প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

যুগেরচিন্তা ২৪ ডট কম: সুন্দরবন বাংলাদেশকে রক্ষা করে। বাংলাদেশ বাঁচাতেই সুন্দরবন রক্ষা করতে হবে। এই স্লোগানে সারাদেশে নেয়া কর্মসূচীর অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জেও পালিত হলো তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির অবস্থান কর্মসূচী। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জাতীয় কমিটির নেতা কর্মী ও সাধারণ ছাত্র জনতা নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সুন্দরবন রক্ষার দাবীতে অবস্থান নেন। জাতীয় কমিটির নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক রফিউর রাব্বির সভাপতিত্বে কর্মসূচীর সঞ্চালনা করেন ধীমান সাহা জুয়েল। রফিউর রাব্বি বলেন আমাদের সরকার তিন বানরের মূর্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এক পদ্মা সেতু নিয়ে তারা উন্নয়নের ধোয়া তুলছে। তারা ইউরোপের আদলে নির্বাচন পরিচালনা করবে। তাহলে সুন্দরবন প্রসঙ্গে কেন গনভোট নেয়া হলো না। এ সময়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি চাটুকারদের কথা না শুনে জনগণের দাবী শোনার আহ্বান জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি বঙ্গবন্ধুর ৪৫ বছর আগের বক্তব্য ‘সুন্দরবন রক্ষা করা না গেলে বাংলাদেশকে রক্ষা করার কোন উপায় নেই।’-স্মরণ করিয়ে দেন। এই কথা মাথায় রেখে তিনি প্রধান মন্ত্রীকে সুন্দরবন রক্ষা করার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, এই বন রক্ষার জন্য যা করতে হয় আমরা তা-ই করবো। কোন চাপেই আমরা এ আন্দোলন থেকে পিছপা হবো না। এর আগে বক্তারা তাদের আলোচনায় বলেন রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন সরকার কিংবা ভারত বিরোধী কোনো আন্দোলন নয়, আমরা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিলের দাবীতে আন্দোলন করছি না, আমরা আন্দোলন করছি সুন্দরবন রক্ষা করার জন্য। এটা জনগন, ঐতিহ্য ও নিজস্ব সম্পদ রক্ষার আন্দোলন। আনু মোহাম্মদের উন্মুক্ত বিতর্কের আহ্বান প্রত্যাক্ষান করে সরকার বুঝিয়েছে তাদের বক্তব্যের কোন ভিত্তি নেই। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিকল্প স্থান হয়, কিন্তু সুন্দরবনের বিকল্প হয় না। সুন্দরবন যদি ধ্বংসই না হবে তাহলে পাঁচ লক্ষ গাছ লাগানোর কি প্রয়োজন। সরকার শীতলক্ষ্যা, বুড়িগঙ্গা সহ দেশের নদীগুলো রক্ষা করতে পারছে না। তাহলে আমরা কেমন করে ভরসা করব তারা সুন্দর বন রক্ষা করবে। ২০১১ সাল থেকে আমরা আমাদের এই আন্দোলন চালিয়ে আসছি। এই সর্বনাশা প্রকল্প বন্ধের দাবীতে পৃথিবীর ইতিহাসে আমরাই প্রথম বন রক্ষার দাবীতে হরতাল পালন করেছি। কিন্তু সরকার এই গণদাবীর তোয়াক্কা করছেন না। সরকার নিজেদের একগুয়েমি বন্ধ করে জনগণের ভাষা বুঝবেন বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্য সচিব কবি রইস মুকুল, প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাসুম, সাধারন সম্পাদক শরিফ উদ্দিন সবুজ, যুগেরচিন্তা২৪ডট কম এর উপ-সম্পাদক দীপক ভৌমিক, প্রেসক্লাব সদস্য বিল্লাল হোসেন রবিন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি এ.বি. সিদ্দিক, নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, মহিলা পরিষদ সভাপতি শাহানারা বেগম, গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক তরিকুল সুজন, কমিউনিস্ট পার্টির নারায়নগঞ্জের সভাপতি হাফিজুল ইসলাম,নারায়ণগঞ্জ জেলা বাসদ সমন্বয়ক কমরেড নিখিল দাস, বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান টিপু, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক অঞ্জন দাস, সাং¯ৃ‹তিক জোটের সাবেক সভাপতি প্রদীপ ঘোষ বাবু, গার্মেন্ট শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, ছাত্র নেতা মশিউর রহমান রিচার্ড, সুলতানা আক্তার ও সজিব শরীফ সহ আরো অনেকে।
এই বিভাগের আরো খবর