শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

জেলা আ’লীগের কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের মতানৈক্য: আংশিকেই কাটলো ৫ মাস

প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

যুগেরচিন্তা ২৪ ডটকম:: আংশিক কমিটিতেই আটকে গেছে জেলা আওয়ামীরীগ। আংশিক কমিটি ঘোষণা করার ৫ মাস হতে চললো। পূর্ণাঙ্গ কমিটির খবর নেই। এখনো তারা করতে পারেনি। নেতৃবৃন্দের এই ব্যর্থতাকে ভাল ভাবে নেয়নি দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এরজন্য দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন সভাপতি মোঃ আব্দুল হাই, সিনিয়র সহসভাপতি ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোঃ শহিদ বাদল। র্তণমূলের মতে, ত্রিরতœ স্ব-স্ব ক্ষেত্রে সফল হলেও এক্ষেত্রে তাঁরা তিনজনই ব্যর্থ। তাদের মতে, উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু বিভাজনের কারণেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা সম্ভব হচ্ছে না। কেননা, জেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটির মূল নেতৃত্বে দুই মেরুর দুজন মহারথি। এদের একজন সভাপতি আব্দুল হাই অপরজন সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল। সভাপতি জনাব হাইকে মেয়রপন্থি হিসেবে ও সাধারণ সম্পাদক বাদলকে এমপি শামীম পন্থি হিসেবে গণ্য করা হয়। দলের একাধিক সূত্র ও চাষাড়ার কিছু সিনিয়র নেতা জানিয়েছেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে দক্ষিণ মেরুপন্থি বলে খ্যাত আব্দুল হাই আর উত্তর মেরুর নেতা আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল এক টেবিলে বসে কমিটি চূড়ান্ত করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। তাদের মধ্যে মত পার্থক্যের কারণেই এমনটি হচ্ছে বলেই বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে। যদিও সভাপতি আব্দুল হাই জানুয়ারি মাসে বলেছিলেন, খুব শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। কিন্তু তার সেই বক্তব্যের বাস্তবতা নেই। আর এ নিয়ে তৃণমূলের মাঝে ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করছে। এদিকে একটি সূত্র বলছে, ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে তৃণমূল থেকে শুরু করে নামধারী অনেক নেতাই নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত। যার কারণে মূল ধারায় এসে রাজনীতি করতে তারা আগ্রহী নন। আবার একই অবস্থা দলের দায়িত্বপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রেও। কনেনা, তারাও দল গোছানোর চেয়ে নিজেদেরকেই গোছাতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করনে। যার কারণে থানা কিংবা ইউনিয়ণ কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে তাদের কোনো আগ্রহ দেখা যায় নি। এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লগীরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদ নির্বাচনকে অজুহাত হিসেবে এতোদিন তুলে ধরলেও বর্তমানে সে ঝামেলা নেই। তারপরও তাদের মধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার আগ্রহ নেই কেনো? এমন প্রশ্ন এখন সর্বত্রই। প্রসঙ্গত, ’৭৫এর পট পরিবর্তনের দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে। ১৯৯৭ সালের ২০ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওইসময় নাজমা রহমান সভাপতি এবং শামীম ওসমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে দীর্ঘ দেড় যুগেও নতুন কোনো সম্মেলন হয়নি। এরপর ২০০২ সালের ২৭ মার্চ ঢাকার সোহাগ কমিউনিটি সেন্টারে ৬৩ সদস্যবিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে সাবেক এমপি এসএম আকরামকে আহবায়ক ও মফিজুল ইসলামকে যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছিল। ওই আহবায়ক কমিটির ৩ মাসের মধ্যে সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার কথা থাকলেও ১৪ বছরেও তা সম্ভব হয়ে উঠেনি। এরমধ্যে ২০১১ সালের অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করেন সাবেক এমপি এসএম আকরাম। তার পদত্যগের মধ্য দিয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়কের দায়িত্ব পেয়েছিলন একই কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মফিজুল ইসলাম।
এই বিভাগের আরো খবর