শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

মুরগী ব্যবসার আড়ালে জেএমবির তৎপরতা, র‌্যাব ১১’র অভিযানে দুই জঙ্গি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ৩ মে ২০১৭   আপডেট: ৫ মে ২০১৭

ডেস্ক সংবাদ (যুগের চিন্তা ২৪ ডটকম) : র‌্যাব ১১’র অভিযানে রূপগঞ্জ থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র সদস্য নিহত সরোয়ার-তামিম গ্রুপের সক্রিয় ২ সদস্যকে  গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলো পিরোজপুর জেলার সদর থানার মোঃ কাইয়ুম হাওলাদার (৩২) ও ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানা এলাকার মোঃ সেলিম (৩২)। বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে র‌্যাবের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।  গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীণ রয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রূপসি বাসষ্ট্যান্ড এলাকা হতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা বিভিন্ন দাওয়াতি কার্যক্রম ও জঙ্গী প্রশিক্ষনের কাজ করাতো এবং পরিকল্পিত নাশকতার কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ ছাড়া তারা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার একটি মামলার এজাহার ভুক্ত পলাতক আসামী। গত ১৭ ও১৮ এপ্রিল সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে ২ জন জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গ্রেপ্তারকৃতরা তাদের বেশ কয়েকজন সদস্যের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়। এ সব তথ্য পর্যালোচনা করে রুপগঞ্জের রূপসি বাসষ্ট্যান্ড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। কাইয়ুম হাওলাদার মামুন নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে ২০১৬ সালে জঙ্গীবাদে অন্থর্ভূক্ত হয়। সে ঢাকা, লালমনিরহাট, পিরোজপুর, বাগেরহাট, গাইবান্দা ও কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জেলায় গমন করে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করত। এ ছাড়াও সে লালমনিরহাটের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এবং নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন চরে গিয়ে জঙ্গি প্রশিক্ষণের জন্য স্থান নির্ধারণের কাজও করত। সেলিম মুফতি মোঃ জসিম উদ্দিন রাহমানির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জঙ্গিবাদে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের জনৈক মোনতাছির এর মাধ্যমে জেএমবিতে (সারোয়ার-তামিম গ্রুপে) যোগদান করে এবং সক্রিয় সদস্য হিসেবে দাওয়াতি কার্যক্রম শুরু করে। সে তার মুরগী ব্যবসার আড়ালে জেএমবির অন্যান্য সদস্যের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতো। বিভিন্ন জঙ্গিবাদী ভিডিও চিত্র সংগ্রহ করে সমমনাদের ভিতর প্রচার করে আসছিল। সে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে জেএমবির প্রচার কার্য চালিয়ে আসছিল।
এই বিভাগের আরো খবর