বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

কর্নগোপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেপোয়ারা কোচিং বানিজ্য

প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৭

যুগের চিন্তা ২৪ ডটকম (রূপগঞ্জ) : রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার ৭৩ নং কর্নগোপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম ও সভাপতি শহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎ এর যোগসাজশে চলছে বেপোরোয়া কোচিং বানিজ্য। শিক্ষক আমিনুলের কাছে এক প্রকার জিম্মী হয়ে পরেছে অভিবাবকরা। স্কুল ছুটির পর শিক্ষক আমিনুল ইসলাম ক্লাসের ভিতর শিক্ষার্থীদের কোচিং করাচ্ছে। অথচ বাংলাদেশ সরকার নিয়ম করেছে ক্লাস শিক্ষার্থীদের কোন কোচিং করানো যাবে না। অথচ নিয়মের তোয়াক্কা না করেই আমিনুল ইসলাম স্কুল ছুটির পর শিক্ষার্থীদের কোচিং করাচ্ছে। । শিক্ষক আমিনুল ইসলামের দম্ভ উপর মহলের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই তিনি স্কুলের ক্লাসরুমে তার কোচিং বানিজ্য চালাচ্ছেন। কেউ তার কিছুই করতে পারবে না, সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে লিখলেও কিছু আসে যায় না। অভিভাবকদের অভিযোগ, আমিনুল ইসলাম সকাল ৭ থেকে শুরু করে ক্লাস শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত আবার স্কুল ছুটির পর থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কোচিং করাচ্ছেন। প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের কাছ প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে কোচিং ফি নিচ্ছেন তিনি। এছাড়া তার কাছে যদি কোন শিক্ষার্থী কোচিং না করে তাহলে ওই শিক্ষার্থীকে নাম্বার কম বা ফেল করিয়ে দিবে বলে হুমকি ধামকি প্রদান করেন। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রাত ১০ টা বেজে যাওয়ার পরও দেখা গেছে আমিনুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের কোচিং করাচ্ছেন। এছাড়া শিক্ষার্থীরা মাসের বেতন দিতে দেরি করলে শিক্ষার্থীদেরকে খারাপভাবে গালিগালাজ করেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমিনুল ইসলামের এসকল কর্মকান্ডে অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানান গেছে। বাংলাদেশ সরকার যেখানে শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশের জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করছেন। অথচ আমিনুল ইসলাম শিক্ষার্থীদেরকে জিম্মী করে তার কোচিং বানিজ্য চালাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক এক অভিভাবক জানান, তিনি বেশসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন। বহু কষ্টে তিনি তার ছেলে মেয়েদেরকে পড়ালেখা করাচ্ছেন। আমিনুল ইসলামের কাছে কোচিং না করলে শিক্ষার্থীদেরকে ফেল করিয়ে দেয় বা পরীক্ষায় নাম্বার কম দেয়। প্রতি মাসে আমিনুলকে কোচিং ফি বাবদ ৫০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। এছাড়া মাসের প্রথম দিকে বেতন না দিলে শিক্ষার্থী খারাপ ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আমিনুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কমিটির অনুমতি নিয়েই তিনি স্কুলের ক্লাসরুমে তার কোচিং বানিজ্য চালাচ্ছেন। এ ব্যাপারে স্কুলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎ জানান. ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা বিকাশের জন্যই তিনি আমিনুল ইসলামকে স্কুলের ভেতরে কোচিং করার অনুমতি দিয়েছেন। দুলাল/শুভ্র/এস
এই বিভাগের আরো খবর