বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

ফুটপাতের ভিড়ে চলে নারীর শ্লীলতাহানী

প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

যুগেরচিন্তা ২৪

নারীরা ফুটপাতের ভিড়ে নানা ভাবে  শ্লীলতাহানীর শিকার হচ্ছে। নারায়নগঞ্জের রাস্তার দুই পাশই এখন হকারদের দখলে । হকার , দোকানীরা অবৈধ দখলকৃত জায়গায় তৈরী করছে দোকান। ফলে ক্রেতাদের এবং পথচারী উভয়ের মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে উপচে পড়া ভিড়। ক্রেতারা অতিরিক্ত ভিড়ে কিছু কিনতে পারছে না আর পথচারীরাও সঠিকভাবে যেতে পারছেনা। ফুটপাতের এই অবৈধ দোকান সৃষ্টির ফলে ভিড়ের কারনে শ্লীলতাহানীর শিকার হচ্ছে নারীরা। নারায়গঞ্জ সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ও কাউন্সিলর দেও কাছে নগরবাসী দাবী জানিয়েছেন  ফুটপাতকে দখল মুক্ত করে পথচারীদের নির্বিঘেœ চলাচলের উপযুক্ত করার জন্য। নগরীর ফুটপাত দিয়ে চলাচল করা যায় না তাই বাধ্য হয়ে পথচারিরা । আর ফুটপাত হকারদের দখলে থাকায় হাটা চলাফেরায় সবচেয়ে বেশী ভোগান্তিতে পড়তে হয় নারীদের। ফুটপাত দিয়ে চলাচলকারী নারীদের দাবী প্রশাসন , সংসদ সদস্য ও মেয়রের  আন্তরিকতাই পারে ফুটপাতকে চলাচলের উপযোগী করে তুলতে । গতকাল নগরীরর জীবনবীমা অফিসের সামনে কথা হয় বেসরকারী ক্লিনিকের চাকুরিজীবি ফারজানার সাথে। সে জানায় , ফুটপাত হকাররা যেভাবে দখল করে রেখেছে এখান দিয়ে হাটা যায় না। মেয়র ও কাউন্সিলররা ফুটপাত হকার ও দখলমুক্ত করতে কার্যকরী ভুমিকা নিবে বলে আমি মনে করি। আর বর্তমান মেয়র একজন নারী তাই নারীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ফুটপাত হকার মুক্ত কওে চলাচলের উপযোগী করবে আশা করি। চাষাড়া লৎফা টাওয়ারের সামনে কথা হয় গৃহবধু নাসিমা আক্তারের সাথে। সে জানায় ফুটপাত দিয়ে চলাচল করা যায় না। একটু ভীড় হলেই শ্লীলতাহানীর শিকার হতে হয়। প্রশাসন , এমপি ও মেয়র যদি একটু সদয় হয় তাহলে ফুটপাত হকারমুক্ত কওে নির্বিঘেœ চলাচলের উপযোগী হয়ে যাবে। কয়েকদিন আগে জীবনবীমা অফিসের সামনে ফুটপাতে জুতা বিক্রি করে এক হকার। তার দোকান থেকে এক মহিলা জুতা দাম, করার এক পর্যায়ে দোকানের হকার কাষ্টমার মহিলার ১০ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল গায়েব করে। ঐ মহিলা বারবার বলে ঐ হকার তার মোবাইল নিয়ে অন্যত্র রেখে এসেছে কিন্তু কে শোনে কার কথা। উল্টো আরো হকার মিলে মহিলাকে উল্টোপাল্টা কথা বলে বিতাড়িত করে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় , ফুটপাত দিয়ে চলাচলের সময় নানান জনের পকেট সাফাই হয় এর পেছনে হকার দায়ী। তাদেও কিছু বললে আপনাকে ঘিওে ধরবে। তাছাড়া নিত্যদিনে চোখে পড়ছে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হকাররা ক্রেতাকে বেধে পেটাচ্ছে। এর আগে বহুবার পুলিশ প্রশাসনের যৌথ প্রচেষ্টায় ফুটপাত একাধিকবার উচ্ছেদ করা হলেও অদৃশ্য কোনো যাদুর ছোয়ায় আবারও হকারদেও দখলে চলে যায় ফুটপাত। এ যেন হকার পুলিশের ইদুর বিড়াল খেলা। কোনো কোনে এলাকায় ফুটপাত পার হয়ে হকাররা এখন মূল রাস্তা দখল কওে নিচ্ছে। জানাগেছে, শহরের চাষাড়া থেকে শুরু কওে ডি আইটি এলাকা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সড়কের দুপাশে ফুটপাত দখল করে ভাসমান হকাররা । তারা মাদক ব্যাবসা কওে এমনও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফিরে বাধ্য হয়ে নিচ দিয়ে হাটার সময় মারাত্বক দূর্ঘটনা ঘটছে পথচারীদের । সাধারনের মতে , হকার সমস্যার মূলে রয়েছে চাদাবাজি। এর ভাগ রাজনীতি ও পুলিশের কতিপয় দুর্নীতিবাজের পকেটে যায়। বিভিন্ন গন মাধ্যম লেখালেখি হলেও টনক নরেনি। কোনো এক অদৃশ্য শক্তির হাতে যেন প্রশাসন বন্দি! ফুটপাত দিয়ে   চলাচলকারী জনসাধারনের প্রশ্ন প্রশাসন উচ্ছেদ করলে হকারার বসার সাহস পায় কি করে? বিশেষ করে প্রশাসনের আন্তরিকতাই পারে হকারমুক্ত ফুটপাত নগরীকে উপহার দিতে।
এই বিভাগের আরো খবর