শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

কুতুবপুরে জসিমের মাদকব্যবসার অডিও রেকর্ড ফাঁস

প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৭

য়ুগের চিন্তা ২৪ ডটকম : ‘পুলিশ কখনো মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে পারবেন না, কারণ মাদক ব্যবসাকে এলাকা ভিত্তিক ক্ষমতাসীন দলের নেতৃবৃন্দ শেল্টার দিয়ে থাকেন ’। গত কয়েকদিন আগে কুতুবপুরের রসুলপুরে কমিউনিটি পুলিশের সভায় অতিঃ পুলিশ সুপারের  উপস্থিতিতে (প্রশাসন)কুতুবপুর ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি আলহাজ্ব জসিম উদ্দিন এসব কথা বলেছিলেন। তবে তিনি ঐদিন তার বক্তব্যে  নেতৃবৃন্দকে উল্লেখ করে যে বক্তব্য দিয়েছেন, এতে করে তিনি নিজের  গর্তে নিজই পড়েছেন। কুতুবপুরে মাদক ব্যবসার  শেল্টার দিতে তিনি যে এখন মাঠে রয়েছেন, তার অডিও রেকর্ড এখন কুতুবপুরের মানুষের হাতে হাতে। কারা করছেন মাদক ব্যবসা, থানা পুলিশের সাথে কিভাবে সমঝোতার ভিত্তিতে  বিক্রেতারা করছেন ব্যবসা,ডিস ব্যবসাসহ তারও চাঞ্চল্যকর তথ্য রয়েছে ঐ রেকর্ডে। টানা ২৯ মিনিট ২০ সেকেন্ডের ঐ অডিও রেকর্ডেও রয়েছে কুতুবপুরের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীসহ থানা  আ’লীগের শীর্ষ বেশ কয়েকজন নেতার নামও।   জসিমের এই  রেকর্ড-ই প্রমাণ করে  কুতুবপুরে হত্যা ও গুমের মূলে রয়েছে মাদক ব্যবসার আধিপত্য। ধেমে থেমে, থেকে থেকে ফতুল্লার কুতুবপুরে  হয় হত্যা। আর ঐসব হত্যাকান্ডে থানায় হয় মামলা। তবে ঐ সমস্ত মামলায়  প্রকৃত আসামীদের বাদ দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই  নেয়া হয় কূট কৌশলে আশ্রয় । কুতুবপুরে  বিভিন্ন সময় হত্যাকান্ডের মূলে রয়েছে মাদক ব্যবসার আধিপত্য। কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবন্দ ইতিমধ্যে তৈরী করেছেন মাদক ব্যবসার বিশাল সিন্ডিকেট। হাতে গোনা  কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও লেবাসধারী মূল হোতারা রয়েছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরেই । কুতুবপুরে ইতিপূর্বে এলাকা ভিত্তিক মাদক ব্যবসার  নিয়ন্ত্রণের বলি হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এদের মধ্যে রয়েছে বিল্লাল, কিলার মনিরসহ প্রায় এক ডজন মাদক ব্যবসায়ী। যারা ইতিমধ্যে হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন এবং ক্রস ফায়ারে নিহত হয়েছেন এদের প্রত্যেকেরই ছিল আন্ডার ওয়ার্ল্ডের ডন। যারা ক্ষমতাসীন  দলের নেতাদের শেল্টারে কুতুবপুরে করেছেন মাদকের ব্যবসা। কুতুবপুরের ঐ সসস্ত নেতারা রয়েছেন  জেলা ভিত্তিক আওয়ামীলীগ, যুবলীগের প্রভাবশালী নেতাদের ছত্র ছায়ায়।   সব দিক মিলিয়ে কুতুবপুর এখন মাদকের জেয়ারে ভাসছে। হাত বাড়ালেই মাদক। থানা পুলিশের অসাধু বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাও জড়িত রয়েছেন ঐ মাদক ব্যবসায়। থানা  পুলিশের বেশ কয়েকজন অফিসারও তাদের সোর্সদের ব্যবহার করে কুতুবপুরে করছেন মাদক ব্যবসা। কাঁচা টাকার নেশায় এ সমস্ত অফিসাররা  দিচ্ছেন মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টার। শনিবার কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ¦ জসিম উদ্দিনের সাথে মাদক ব্যবসায়ী আলী মাষ্টার,মুরগী কামাল, ট্রাক জাকিরের সাথে গোপন বৈঠকের  ২৯ মিনিট ২০ সেকেন্ডের অডিও রেকর্ড ফাস হয়েছে। পাগলা শাহী বাজার, বউ বাজার,নয়ামাটি এলাকায় কিভাবে মাদক এনে বিক্রি করা হয় সেই তথ্যও রয়েছে ঐ রেকর্ডে । অডিও রেকর্ডে যা আছে: ট্রাক জাকির: ভাই খালেক মিয়ার বাড়ির ঐখান দিয়া মাল নামে । যতো মাল আহে, তাতো ঐ জায়গা দিয়াই আহে। মাল আহে কাঁচা তরকারীর গাড়ি, আবার কহনো মুরগীর গাড়ি দিয়া। কেউ কহনো বিশ^াস করতে পারবো না খাই গাড়ির ভিতর কি আছে । বাদল  দেওয়ান:  ঠিক আছে , সপ্তায় কয় গাড়ি নামাইতে পারবা ? ট্রাক জাকির : ভাই মাসে ৪ ট্রিপ দিলেই আলহামদুলিল্লাহ, আর কিছু লাগে না ভাই। বাদল  দেওয়ান: তয় আমাগো কেমনে দিবা: ট্রাক জাকির: ট্রিপে ১০ হাজার ভাই মুরগি কামাল :  তাইলে তুমি ২০ হাজার দিবা? ট্রাক জাকির:  না ভাই ১০ হাজার । জসিম : দূর মিয়া ১০ হাজারে কেমনে অইবো ? ট্রাক জাকির: ভাই আপনেরা খালি খেয়াল রাইখেন ভাই। আমি অহন ধরা ভাই। আমার দুইটা লোক ধরা খাইছে ওরা  অহন জেলে আছে। আমার মাত্র ২টা পার্টি ।  আপনেরা খোঁজ নিয়া দেখেন, আমার অহন ব্যবসা ভালা না। আমার দিকে খেয়াল রাইখেন ভাই । বাদল  দেওয়ান: আরে মিয়া  পুলিশও দুই নম্বর মানুষও দুই নম্বর। চিন্তা নাই করো গিয়া। জাকির: ভাই আপনেরা শুধু লবিং করবেন । ধরা খাইলে আপনেগো নাম কমু না। মাইরা লাইলেও না। শুধু আপনেরা  গোপনে লবিং করবেন। বাকিটা আমি দেখমু। শাহী বাজার দিয়া মাল নামবো ভাই। জসিম : নামাও । আমারও চট্রগ্রামে ও  কুমিল্লায় লোক আছে। পুরো ২৯ মিনিট ২০ সেকেন্ডের অডিও রেকর্ডে রয়েছে কুতুবপুরে কিভাবে মাদক চলছে মাদক ব্যবসা। পুলিশের সোর্সরাও মাদক চোরা চালানের সাথে জড়িত রয়েছে। থানাকে মাসোহারা দিয়ে কুতুবপুরে  অনেকেই মাদক ব্যবসা করছে বলেও অডিও রেকর্ডে তথ্য রয়েছে। মাদক ব্যবসার গোপন বৈঠকে আরো ছিলেন, হেফাজতের মামলার আসামী মুরগী কামাল, গনবিদ্যা নিকেতন স্কুলের সাবেক  কেরানী ( অপকর্মের কারণে বহিস্কৃত) আলী মাষ্টার। https://youtu.be/-iM7uIn4Klo      
এই বিভাগের আরো খবর