শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

রূপগঞ্জে মহিলালীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, ভাংচুর লুটপাট, আহত-১৫

প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৭

যুগের চিন্তা ২৪ ডটকম (রূপগঞ্জ) : রূপগঞ্জ উপজেলার চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র ( প্রস্তাবিত রাসেল নগড় ইউনিয়ন) এর আওয়ামী মহিলালীগের সভাপতি দাবি করে এবং এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মহিলালীগের দুই গ্রুপের মাঝে দুই দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় মহিলালীগ নেত্রীসহ নিরীহদের দোকানপাট ও বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। রোববার রাতে ও সোমবার দুপুরে ঘটে এ ঘটনা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় আবারো সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র ( প্রস্তাবিত রাসেল নগড় ইউনিয়ন) এর আওয়ামী মহিলালীগের সভাপতি দাবি করে আসছে মহিলালীগ নেত্রী,ইউপি সদস্য বিউটি আক্তার কুট্রি ও অপর মহিলালীগ নেত্রী নাজমা বেগম। সভাপতির পদ ও এলাকার বিভিন্ন আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিউটি আক্তার কুট্রির সঙ্গে নাজমা বেগমের বেশ কয়েক দিন ধরেই দ্বন্ধ চলে আসছে। রোববার সন্ধ্যায় এবং সোমবার দুপুরে বিউটি আক্তার কুট্রিসহ তার বাহিনীর লোকজন লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নাজমা বেগমসহ তার লোকজনের উপর হামলা চালায়। এসময় নাজমা বেগমের লোকজনও পাল্টা হামলা চালায়। এসময় দুই গ্রুপের মাঝে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের রহিম, জুয়েল, শাহিন, কামাল, নাঈম, রমজান, জীবনসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, উভয় পক্ষের লোকজন মহিলালীগ নেত্রী ইয়াছমিনের ৫টি দোকানঘর ও বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যপক ভাংচুর করে লুটপাট চালায়। পরে রিমি বেগম, রহিম, মোকসেদ, রহিমুনের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মালপত্র লুট করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানিয়েছেন, বিউটি আক্তার কুট্রি ও নাজমা বেগমের দ্বন্ধের কারনে নিরীহ মানুষকে মামলা-হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও আহতের শিকার হতে হচ্ছে। এলাকায় মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে অপরাধ মুলক কর্মকান্ড দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিউটি আক্তার কুটি আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে অপরাধমুলক কর্মকান্ড করে আসলেও পুলিশ প্রশাসন নিরব ভুমিকা পালন করছেন। বর্তমানে ওই দুই নেত্রীর হুমকি-ধমকিতে দিশেহারা হয়ে উঠেছে। তাদের কথা মতো কাজ না করলেই দোকানপাট ও বাসা বাড়িতে হামলা চালানো হচ্ছে। এ সব সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ব্যপারে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগীতা চাইতে গেলে উল্টো ফাঁসিয়ে দিচ্ছে নিরীহদের। তাই এখন প্রতিবাদ করার সাহসটুকুও পাচ্ছেনা। এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ধরনের ঘটনা আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এছাড়া পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়।
এই বিভাগের আরো খবর