শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

নাজিম উদ্দিনের কথিত শ্যালকের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৭

যুগের চিন্তা ২৪ ডটকম (ফতুল্রা) : সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিনের কথিত শ্যালক  জাহাঙ্গীর।  ভূঁইঘর ও এর আশপাশের এলাকায় ভূমি দস্যু হিসেবে চিহ্নিত সে। অন্যের জমি ভূয়া খাজনা মিউটিশন করে নিজের বলে দাবী করাই ছিল তার কাজ।  এসব অপকর্মে শনিবার ফতুল্লা মডেল থানায় ভুমি দস্যু জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে  গোলাম হাক্কানী নামে এক ব্যাক্তি একটি জালিয়াতি মামলা করেন।  কুতুবপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের  ম্যানেজ করে ভূমি দস্যু জাহাঙ্গীর জাল  মিউট্রিশন করেছেন বলেও উল্লেখ করেছেন মামলায় (মামলা নং-৩৬)। জানা যায়, একসময় জাহাঙ্গীর মাছের ব্যবসা করতেন।  নাজিম উদ্দিন সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ভাইস চেয়ারম্যানের শ্যালক পরিচয়ে  পুরো ভূঁইঘর এলাকা দাবড়িয়ে বেড়িয়েছেন জাহাঙ্গীর ওরফে মাউচ্ছা জাহাঙ্গীর। শুরু করেছিলেন  ভূমি দস্যুতা। অন্যের জমির ভূয়া মিউটিশন ও জাল দলিল তৈরী করে  ভূইঘর এলাকায় জবর দখর করাই ছিল তার কাজ। বেশ কয়েক মাস আগে  গোলাম হাক্কানীর একটি জায়গার ভূয়া মিউটিশন ও জাল দলিল  তৈরী করে জাহাঙ্গীর। কুতুবপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অসাধু কর্মচারীদের ম্যানেজ করে  ওই জাল মিউটিশন করেছেন জাহাঙ্গীর। এমন অভিযোগ মামলায় উল্লেখ করেছেন বাদী। ভূয়া মিউটিশনের বলে জাহাঙ্গীর জমির মালিক গোলাম হাক্কানীর জায়গা দখলের চেষ্টা করে ।  ১৫২ নং জমি রেজিষ্ট্রি করে ৩৩৩ নং খতিয়ানে জায়গা দখল করার চেষ্টা করে জাহাঙ্গীর গং। এক পর্যায়ে  জাহাঙ্গীর জমির মালিক গোলাম হাক্কানীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য।  জমির মালিক জাহাঙ্গীরকে টাকা না দেয়ায় তাকে নানা রকম হুমকি দেয় বিবাদী। শনিবার ভূয়া মিউটিশণ ও চাঁদাদাবী করায়  গোলাম হাক্কানী জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে ফতুল্লা মডেল থানায় গত বৃহস্পতিবার রাতে একটি মারামারি মামলায় জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবারে আদালতে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। বাধন/এস/এস
এই বিভাগের আরো খবর