বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সিদ্ধিরগঞ্জে সারোয়ার-তামিম গ্রুপের দুই জেএমবি সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৭

যুগের চিন্তা ২৪ ডটকম (সিদ্ধিরগঞ্জ) : জেএমবির (সারোয়ার-তামিম) গ্রুপের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড ও কুমিল্লার গৌরীপুর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া জেএমবির ৮ সদস্যের তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোর ৪টায় জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকা থেকে তাদের গেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলো- কুমিল্লা জেলার তিতাস থানা এলাকার আব্দুর রহমান ওরফে সোহেল (২৫) ও একই জেলার দাউদকান্দি থানা এলাকার ফয়সাল আহমেদ (৪৪)। মঙ্গলবার বিকেলে র‌্যাব-১১’র পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৬ ও ৭ এপ্রিল র‌্যাব-১১ সদস্যরা সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড ও কুমিল্লার গৌরীপুর থেকে নিহত জঙ্গী সারোয়ার-তামিম গ্রুপের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাদের দেয়া তথ্যমতে র‌্যাব-১১ সদস্যরা সোমবার রাত ৯টা থেকে মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) ভোর ৪টা পর্যন্ত সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী নতুন মহল্লায় অভিযান চালায়। এ সময় র‌্যাব আব্দুর রহমান ওরফে সোহেল ও ফয়সাল আহমেদকে গ্রেপ্তার করে। র‌্যাব আরো জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আব্দুর রহমান ও ফয়সাল স্বীকার করে যে, তারা গত ৬ ও ৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তারকৃত জেএমবি (সারোয়ার-তামিম) গ্রুপের সদস্য। তারা পরিকল্পিত নাশকতার কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। তারাও ওই সংগঠনের বিবিধ দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করতো বলে জানায় র‌্যাব। এছাড়াও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাদের এমএলএম কোম্পানির সদস্যদের নিকট জঙ্গিবাদী মতবাদ প্রচার করে আসছিল। গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুর রহমান ওরফে সোহেল গত ৪ বছর ধরে গৌরীপুরের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতো। তিনি ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে জেএমবির সক্রিয় সদস্য ও আঞ্চলিক সমন্বয়কারী জামাল ওরফে রাসেল জিহাদীর মাধ্যমে জেএমবিতে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি জেএমবির (সারোয়ার-তামিম) গ্রুপের একাধিক সদস্যের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতো এবং নারায়ণগঞ্জের একাধিক স্থানে গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছিল। ইতিপূর্বে তারা একাধিকবার রাজধানী ঢাকার শনির আখড়ায় এক ব্যক্তির বাসায় সাংগঠনিক কাঠামো বর্ধিতকরণ, নতুন নতুন সদস্য সংগ্রহ করার নিয়ম ও পদ্ধতি এবং নাশকতা পরিচালনার ব্যাপারে বৈঠক করেছে। বিগত অভিযানে জব্দকৃত বিস্ফোরক সরবরাহের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা আছে বলেও তিনি স্বীকার করেছেন। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় জেএমবির নারী সদস্য সংগ্রহের জন্য কাজ করে আসছিলেন তিনি। অপরদিকে, ফয়সাল আহমেদ ১৯৯৪ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করে কুয়েতে চলে যায়। ১৯৯৪ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত কুয়েতে কাজ করে বাংলাদেশে চলে আসে এবং ফ্লেক্সিলোড এর ব্যবসা শুরু করে। ২০১৬ সালে ইতিপূর্বে গ্রেপ্তারকৃত জেএমবি (সারোয়ার-তামিম) গ্রুপের জামাল ওরফে রাসেল জিহাদীর মাধ্যমে জেএমবিতে যোগদান এবং সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ শুরু করে। ফয়সাল দীর্ঘ সময় কুয়েতে বসবাস করার কারনে আরবি ভাষার ওপর দক্ষতা অর্জন করেন। তিনি ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত আরবি ভাষায় বিভিন্ন উগ্রবাদী তথ্যচিত্র বাংলায় অনুবাদ করতেন এবং সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে তা সরবরাহ করতেন। ফয়সাল সংগঠনের জন্য অর্থের যোগান দিতেন। এএ/এস/শুভ্র
এই বিভাগের আরো খবর