বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

‘কুকুরের কাজ কুকুর করবেই’

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কুকুরের কাজ কুকুর করবেই। কুকুরের ঘেউ ঘেউয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে মামলা করায় বুধবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতা হাইকোর্ট এ কথা বলেছে।আদালতে মামলার বাদীর কৌঁসুলি কবিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। শুনানির এক পর্যায়ে বিচারপতিকে কবিতা বলেন- ‘দিনরাত পোষা কুকুরগুলো একটানা চিৎকার করে ।’ বিচারপতি: কুকুরের কাজই তো চিৎকার করা। কবিতা : ওদের চিৎকারে বাদীর এক মাসের মেয়ে, বৃদ্ধ বাবা-মা রাতে ঘুমাতে পারেন না। বিচারপতি: রাতেই তো কুকুর বেশি ডাকবে। কবিতা : ওদের চিৎকারের ঠেলায় দিনরাত জানলা-দরজা বন্ধ করে রাখতে হয়। এত চেঁচায় যে, জানলার কাচ কাঁপে! বিচারপতি: কুকুরের চিৎকার কমানোর কোনও প্রশিক্ষণ রয়েছে? আমার তো জানা নেই। কবিতা : ওরা এত জোরে চেঁচায় যে, ভয়ে কেঁদে ওঠে বাদীর মেয়ে। মা-বাবাও অতিষ্ঠ। বিচারপতি: কথায় বলে, যে কুকুর বেশি চেঁচায়, সে তত কামড়ায় না। মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাদী সুমন বলের প্রতিবেশী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার। তার দুই পোষ্যের চিৎকারে অতিষ্ঠ হয়ে সোনারপুর থানায় বার তিনেক অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। কুকুরের চেঁচামেচি পুলিশ বন্ধ করতে পারেনি, এই অভিযোগ তুলে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার মামলা করেছিলেন তিনি।সরকারি কৌঁসুলি শুভব্রত দত্ত জানান, সুমনবাবুর প্রতিবেশীর দু’টি কুকুর রয়েছে। একটি অ্যালসেশিয়ান, অন্যটি হাস্কি। দু’টি কুকুর পোষার লাইসেন্সও রয়েছে তার। দোতলায় কাচের বাতানুকূল একটি ঘরে তারা থাকে। শুভব্রত আদালতে একটি ছবি দেখিয়ে জানান, সুমনবাবুর বিরুদ্ধে ওই পোস্টার লাগানোর অভিযোগ করেছেন তার প্রতিবেশী। কুকুরের চিৎকার আটকাতে প্রতিবেশীর উদ্দেশে ওই পোস্টার টাঙানো হয়েছে বলে অভিযোগ। তার ভিত্তিতে সুমনবাবুর বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে।তা শুনে বিচারপতি বাগচী বলেন, ‘পুলিশ ওই মামলা দায়ের না করলেই পারত।’বিচারপতি বাগচী এ দিন সুমনবাবুর আইনজীবীকে জানান, কুকুর নিয়ে পাড়ায় পরবর্তীকালে কোনও অশান্তি বা গোলমাল হলে তাঁর মক্কেল সংশ্লিষ্ট এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ জানাতে পারবেন। ম্যাজিস্ট্রেট আইনমাফিক ব্যবস্থা নেবেন।
এই বিভাগের আরো খবর