বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

‘আমি হিল পরি, কারণ...’

প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ৩ এপ্রিল ২০১৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি জানিয়েছেন, ট্রাম্প প্রশাসন সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার অবস্থান থেকে সরে এসেছে। নিউ ইয়র্কে পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক এক বৈঠকের প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা বলেন হ্যালি। তিনি বলেন, ‘আসাদ যাবেন না থাকবেন, এ নিয়ে আমি নতুন কিছু বলতে চাই না। এমন প্রশ্ন আগেও শুনেছি, এর উত্তরও আগেই দিয়েছি।’ নিজের বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে হ্যালি বলেন, আমেরিকার অসন্তোষ সত্ত্বেও আসাদ ৬ বছর ধরে টিকে আছেন, সম্ভবত ভবিষ্যতেও থাকবেন। তবে আসাদকে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে উল্লেখ করলেও তিনি মনে করেন, আসাদের প্রতি রাশিয়ার সমর্থন সিরীয় শান্তি প্রক্রিয়ায় রুশ-মার্কিন সহযোগিতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। সাউথ ক্যারোলাইনার প্রাক্তন গভর্নর নিকি হ্যালি স্পষ্টভাষী হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন। পররাষ্ট্রনীতিতে পূর্ব-অভিজ্ঞতা না থাকলেও ট্রাম্পের বৈদেশিক নীতির প্রধান সমর্থক হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ৪৫ বছর বয়সি এই নারী। নিকি হ্যালি একদিকে ইউক্রেন বিষয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবরোধ চালিয়ে যেতে চান, অন্যদিকে জাতিসংঘের বাজেটে মার্কিন অর্থ-সহায়তা হ্রাসের পক্ষপাতী তিনি। বিশেষ করে শান্তিরক্ষা মিশনে মার্কিন অর্থ-সাহায্য চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব বলে মনে করেন তিনি। জাতিসংঘে মার্কিনবিরোধী দেশগুলোকে চিহ্নিত করার কথাও বলেছেন তিনি। ইসরায়েলের কট্টর সমর্থক নিকি ইসরায়েলি সমর্থকগোষ্ঠী আইপ্যাকের সমাবেশে বক্তব্য দিয়ে ব্যাপক প্রশংসা লাভ করেন। সমাবেশে তিনি বলেন, ‘আমি হাই হিল পরি ঠিকই, কিন্ত ফ্যাশনের জন্য নয়। কেউ যদি ভুল কিছু করে তবে তাকে আমার হিলের লাথি খেতে হবে!’ এ ছাড়া জাতিসংঘে ইসরায়েলের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে ইসরায়েলবিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন তিনি। জাতিসংঘের ইসরায়েলবিরোধী পদক্ষেপের পিছনে প্রাক্তণ ওবামা প্রশাসনের সমর্থন বহাল থাকবে না বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের পদক্ষেপ আর বরদাস্ত করা হবে না। জাতিসংঘকে ক্লাবের সঙ্গে তুলনা করে সমালোচিত হন ট্রাম্প। হ্যালিও একই সুর তুলে বলেন, প্রত্যেক ক্লাবের মতোই জাতিসংঘও এর সদস্যদের ক্লাবের নিয়ম-কানুন মেনে নিতে ক্রমাগত চাপ দিয়ে চলে। ফলে সবার একইভাবে কাজ করার এক সংস্কৃতি গড়ে ওঠে। তিনি এই সংস্কৃতির অবসান চান। তথ্যসূত্র : এনডিটিভি অনলাইন।
এই বিভাগের আরো খবর