মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ৫ ১৪৩০

পরকীয়ার জেরেই রূপগঞ্জে গৃহবধূ রেশমাকে হত্যা, স্বামীর স্বীকারোক্তি

প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৭

যুগের চিন্তা ২৪ ডটকম (রূপগঞ্জ) : রূপগঞ্জে পরকীয়ার জের ধরেই রেশমা বেগম নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ ও ছুড়ির দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছেন স্বামী হাজিদ মিয়া। অভিযুক্ত হাজিদ মিয়া মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আক্তার হোসেনের আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে গত সোমবার উপজেলার ছোট দড়িকান্দি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। গ্রেফতারকৃত হাজিদ মিয়া ছোট দড়িকান্দি এলাকার সোলেমান মিয়া ছেলে। রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাদশাহ আলম জানান, গত ১৮ মার্চ সকালে ছোট দড়িকান্দি খালপাড় এলাকা থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের অর্ধ-গলিত মৃতদেগ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মৃতদেহ উদ্ধারের এক দিন পর মৃতদেহটির নাম-পরিচয় পাওয়া যায়। নাম-পরিচয়ের ভিত্তিতে তদন্ত করে পুলিশ স্বামী হাজিদ মিয়াকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত হাজিদ মিয়া নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আক্তার হোসেনের আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। হাজিদ তার স্ত্রী রেশমা বেগমকে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্ধিতে জাহিদ মিয়া বলেন, ১২ বছর আগে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার উদম মধুপুর এলাকার আবুল হোসেনের মেয়ে রেশমা আক্তারকে বিয়ে করেন হাজিদ মিয়া। বিয়ের পর থেকেই রেশমা অন্য এক পুরুষের পরকীয়ার সম্পর্ক জড়িয়ে পরেন। হাজিদ মিয়া পরকীয়ার সম্পর্ক জানতে পেরে রেশমা বেগমকে বাঁধা প্রদান করলেও তিনি তার কথা শুনতো না। পরকীয়ার বিষয় নিয়ে প্রায় সময়ই রেশমা বেগমের সঙ্গে হাজিদের বাক-বিতন্ডা ও ঝগড়া হতো। এর জের ধরেই হাজিদ মিয়া গত ১৫ মার্চ শ্বাসরোধে হত্যা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে পেটে আঘাত করে রেশমা বেগমকে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে ছোট দড়িকান্দি খালপাড় এলাকায় মাটির নিচে পুতে রাখা হয়
এই বিভাগের আরো খবর