
সিদ্ধিরগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মো. শাহীন (২৫) নামে এক যুবকের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. শাহীন বাদী হয়ে একাধিক মামলার আসামি হান্নান প্রধান ও তার ভাই মাদক ব্যবসায়ী মো. মান্নানসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১১।
ভুক্তভোগী মো. শাহীন সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৬নং ওয়ার্ডের মুনলাইট পুরান থানা এলাকার মো. শাহজালালের ছেলে।
মামলার আসামিরা হলো- নাসিক ৬নং ওয়ার্ডের মো. ইউসুফ প্রধানের ছেলে চিহ্নত মাদক ব্যবসায়ী মোঃ মান্নান প্রধান (৩৫), মো. মুসলিমের ছেলে মো. মিজান (২৬) ওরফে ভাগিনা মিজান, মো. ইউসুফ প্রধানের আরেক ছেলে একাধিক মামলার আসামি আব্দুল হান্নান প্রধান (৫০), মো, দেলোয়ারের ছেলে মো. সিফাত (১৮), মো. হানিফের ছেলে মো. হিমেল (১৮), আবুল কালামের ছেলে মো. সবুজ (২৫), মৃত: সিরাজের ছেলে মো. সুমন ওরফে ইলিয়াস (২৫), লক্ষ মিয়ার ছেলে মো. সোহেল (২৬), মৃত নুর ইসলামের ছেলে মো. নাসির (৩০) ও কাঞ্চ ফরাজীর ছেলে মো. কামাল (৩৫)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলার আসামিদের সাথে ভুক্তভোগী যুবকদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো। এরই মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মুনলাইট গার্মেন্টেসের পিছনে মুন্সি বাড়ি এলাকায় অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী মো. শাহীনকে একা পেয়ে তার পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে।
ভুক্তভোগী তাদের গালাগালির প্রতিবাদ করলে আসামিরা ধারালো রামদা, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে ওই যুবকের উপর অতর্কিত হামলা করে। হামলায় ভুক্তভোগী ওই যুবক গুরুতর আহত হয়।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, হামলার পর মামলার ১ নাম্বার আসামি নাসিক ৬নং ওয়ার্ডের মো. ইউসুফ প্রধানের ছেলে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মো. মান্নান প্রধান তার সাথে থাকা বিদেশী সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে ভুক্তভোগী ওই যুবককে আঘাত করলে তার শরীরে রক্তাক্ত কাটা জখম হয়।
একপর্যায়ে ওই যুবককে এলোপাতাড়ি মারধর করে আসামিরা তার সাথে থাকা নগদ ১২ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাকে রাস্তায় ফেলে চলে যায়। পরবর্তীতে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আহত ওই যুবককে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, হান্নান এক সময়ে তৎকালীন বিএনপি নেতা জহুর সাথে রাজনীতি করতো। সে হিসেবে হান্নান এলাকায় বিএনপি নেতা হিসেবেই পরিচিতি পান।
পরবর্তীতে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির শেল্টারে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেন হান্নান। এরপর থেকে তাকে আর পিছনে ফিরে তাঁকাতে হয়নি, গড়ে তুলে অপরাধের সাম্রাজ্য। এখন হান্নান নিজেকে কখনো তাঁতী লীগের সহ-সভাপতি কখনো সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, হান্নান নিজেকে সাংবাদিক দাবি করে মূলত তার সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখার জন্য। এ বিষয়ে তারা স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান পিপিএম বার বলেন, হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগী যুবক থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।