শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ফতুল্লায় বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রূঢ় আচরণ ও ঘুষ দাবির অভিযোগ

প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ৫ মে ২০১৭

যুগের চিন্তা ২৪ ডটকম (ফতুল্লা) : ফতুল্লা বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে রূঢ় আচরণের অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা। একটি তার ছিড়ে মাটিতে পড়লে বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ করার ৭ থেকে ৮ ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে আসে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন। এরপর তার মেরামত শেষে দাবী করা হয় চা-পানের নামে ঘুষ। গ্রাহকদের অভিযোগ বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনদের দাবী অনুযায়ী ঘুষ দেয়া না হলে পরবর্তীতে সমস্যা হলে হাজার ডাকলেও তাৎক্ষনিক পাওয়া যায়না। বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ করতে ফোন করলে উল্টো অভিযোগ না শুনেই ফোন কেটে দেয় বিদ্যুৎ অফিসের জরুরী বিভাগে দায়ীত্বরত লোকজন। সময় মতো বিদ্যুৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সেবা না পাওয়ায় কলকারখানার উৎপাদন যেমন ব্যাহত হচ্ছে তেমনি শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ায় ব্যাঘাত ঘটছে। একই সঙ্গে অনেক অসুস্থ্য রোগীর চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এবিষয়ে ফতুল্লার সস্তাপুর এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী আঞ্জু মিয়া জানান, গরম আসলেই ট্রান্সফরমায় নানা সমস্যা দেখা দেয়। এরমধ্যে কমন সমস্যা ফিউজ কেটে যাওয়া। এরজন্য বিদ্যুৎ অফিসে একাধীকবার জরুরী নাম্বারে ফোন করা হলেও তাৎক্ষণিক কাউকে পাওয়া যায়না। তবে তাগিদ দেয়ার ৭ থেকে ৮ ঘন্টা পর বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন আসে ঘটনাস্থলে। এরপর সমস্যা সমাধানের আগেই দাবী করবে চা-পানের নামে ঘুষ। না দিলে সড়কে পায়চারি করে কোন মতে ফিউজ লাগিয়ে চলে যায়। তারা যেতে না যেতেই ফের ফিউজ কেটে যায়। এরপর বিদ্যুতের লোকজন নিয়ে আসতে হলে দিতে হয় মোটা অঙ্কের টাকা। এতে আমার টেক্সটাইল মিলের উৎপাদনে বড় ধরনের ক্ষতি হয়। প্রতিবাদ করলেও কোন ফল পাইনি। উল্টো ভোগান্তিতে পড়েছি। বাড়িওয়ালা সোহাগ মিয়া জানান, গত শনিবার রাত ১১টায় দক্ষিণ সস্তাপুর এলাকায় একটি ফেইস কেটে যায়। এরপর পরই একাধীকবার ফোন করেও রাতে বিদ্যুৎ অফিসের একজন লোককেও ডেকে পাইনি। পরের দিন রোববার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত একাধীকবার ফোন করলে উল্টো ধমক দিয়ে বলেন, সময় পেলে যাবে। বার বার ফোন করতে হয় বলে লাইন কেটে দেয়। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টায় একটি গাড়ি নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসের কয়েকজন এসে প্রথমে বাড়িওয়ালাদের খোজ করেন। তখন কয়েকজন বাড়িওয়ালাকে পেয়ে চা-পানের জন্য ঘুষ দাবী করে ফিউজ লাগিয়ে দেয়। পরবর্তীতে ঘুষ না পেয়ে আগামীতে ডাকলেও আর আসবেন না বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। ওই সময় তাদের নাম জানতে চাইলে কেউ কারো নাম বলেনি। বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের এমন রূঢ় আচরণে ক্ষুদ্ধ গ্রাহকরা। এব্যাপারে জানতে ফতুল্লা বিদ্যুৎ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফতুল্লার কয়েকটি এলাকার দায়ীত্ব পালন করি আমি। অন্য এলাকার বিষয়ে কিছু জানি না। তবে কারা অন্য এলাকার দায়ীত্ব পালন করেন সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানেনা। তার এলাকায় কোন সমস্যা নেই।
এই বিভাগের আরো খবর