শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সোনারগাঁয়ের সক্রিয় জাতীয় পার্টি ও আ’লীগ : নীরব বিএনপি

প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৭

যুগের চিন্তা ২৪ ডটকম  (সোনারগাঁ) : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি সোনারগাঁয়ের রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে মহাজোটের দুই শরীক দল জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ। কিন্তু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত জোটের মাঝে এখনো সক্রিয়তার আভাস ফুঠে উঠেনি। সূত্রমতে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির ১ম যুগ্ম মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা। এরপর থেকে অদ্যাবধি তিনি সোনারগাঁয়ে সুস্থ্য ধারার রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ণ ও তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরী করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজের রাজনৈতিক মাঠকে গুছিয়ে নিচ্ছেন। তার উন্নয়ণমুখী ও সেবামূলক রাজনীতি এবং আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়ে প্রত্যহ বিভিন্ন দলের অসংখ্য নেতাকর্মী জাতীয় পার্টিতে যোগদান অব্যাহত রেখেছে। অন্যদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। এদের মধ্যে রয়েছেন- স্থানীয় সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার ও তার চাচা মোশারফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সভাপতি এইচ.এম মাসুদ দুলাল। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এইচ.এম মাসুদ দুলাল ছাড়া অন্য তিন জন দলীয় মনোনয়নের জন্য দৌড়ঝাঁপ চালিয়ে ছিলেন। কিন্তু রাজনীতিতে অপরিপক্ক আব্দুল্লাহ আল কায়সার জনবিচ্ছিন্ন হওয়ায় তখন দলীয় হাইকমান্ড তাকে বাদ দিয়ে তার চাচা মোশারফ হোসেনকে মনোনয়ন দেয়। তবে পরবর্তীতে মহাজোটের সুবিধার্থে আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়া হয়। তাই মহাজোট প্রেক্ষাপটে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ আসনটি জাতীয় পার্টির দখলে থাকবে বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অপরদিকে সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁয়ের রাজনৈতিক অঙ্গনে দেখা মিলছে না বিএনপির কোন প্রার্থীর। তবে নির্বাচনী মাঠে নীরব থাকলেও ফেসবুক রাজনীতিতে সরব রয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মান্নানপন্থীরা।
এই বিভাগের আরো খবর