শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

মুফতি হান্নানের প্রাণভিক্ষা নাকচের কপি কারাগারে

প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৭

যুগেরচিন্তা২৪.কম: মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি মুফতি হান্নান ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুলের প্রাণ ভিক্ষা আবেদন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নাকচের কপি কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছেছে।সোমবার ওই কপি কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে।কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার  মো. মিজানুর রহমান জানান, মুফতি হান্নান ও তার সহযোগী বিপুলের প্রাণ ভিক্ষা রিজেক্টের কপি সোমবার কারাগারে এসে পৌঁছছে।উল্লেখ, ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালালের (র.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। এতে পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত এবং আনোয়ার চৌধুরীসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন।এ মামলার রায়ে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত ৫ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।মুফতি হান্নান ও শরীফ শাহেদুল বিপুলকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে এবং দেলোয়ার হোসেন রিপনকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করতে প্রয়োজনীয় নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি ২০০৯ সালে আসামিরা জেল আপিলও করেন। পরে গত বছরের ৬ জানুয়ারি এ মামলায় হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। বিচারিক আদালতের দণ্ড বহাল রেখে ১১ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।গত বছরের ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। ১৪ জুলাই আপিল করেন দুই আসামি হান্নান ও বিপুল। অপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রিপন আপিল না করলেও আপিল বিভাগ তার জন্য রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ করেন।আপিলের শুনানি শেষে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর আসামিদের আপিল খারিজ  হয়ে যায়। পরে গত ১৭ জানুয়ারি এ রায় প্রকাশের পর আসামিরা রিভিউ করেন। ১৯ মার্চ রিভিউ খারিজ হয়। পরে ২৭ মার্চ মুফতি হান্নান ও বিপুল কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির নিকট প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করেন।
এই বিভাগের আরো খবর