বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বৃক্ষ ও আমরা ওতপ্রোত ভাবে জড়িত, আমাদের বৃক্ষ নিধন বন্ধ করতে হবে : অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক

প্রকাশিত: ২ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ২ আগস্ট ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪ ডটকম) : জেলা প্রশাসন, বন বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ১৫ দিনের ফল ও বৃক্ষ মেলার আনুষ্ঠানিক সমাপনী ঘোষণা করা হলো। বন বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আব্বাস উদ্দীনের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী বন সংরক্ষক আব্দুল করীম এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জেলা পশিক্ষণ কর্মকর্তা, সোভন কুমার ধর। সভাপতির বক্তব্যে আব্বাস উদ্দীন বলেন, ‘এই মেঘলা ও বৃষ্টির দিনগুলোতে যে সকল ক্রেতাদের সমাগমে আর বিক্রেতাদের অংশগ্রহণে এই মেলা সফল হলো আমি প্রথমেই তাঁদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমাদের সার্বিক সহায়তা প্রদানর জন্যে আমি জেলা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ। সর্বদা আমাদের সহোদর মনে করে আমাদের সকল আয়োজনে সাথে থাকার জন্যে বন বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কাছেও আমি কৃতজ্ঞ।’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীনে বলেন, ‘বৃক্ষ সমাজ শুধু দিতে জানে কোনো কিছু নিতে জানে না। আমি অনেক দেশ দেখেছি যেখানে সামান্য কিছু গাছকে বাঁচিয়ে তোলার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম দিতে হয়, খরচ হয় লক্ষ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে আমাদের দেশে একটি পাখি কোনো ফল খেয়ে বীজ ফেলে দিলেই গাছ হয়ে যায়। তবুও আমরা এই গাছের কতটুকু মূল্য দেই! বৃক্ষ ও আমরা একে অন্যেও সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত তাই আমাদের বৃক্ষ নিধন বন্ধ করতে হবে।’ সমাপনী অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ উৎপাদন ও বিপণনের জন্যে তিনটি নার্সারীকে পুরষ্কৃত করা হয়, প্রথম হয় নবীগঞ্জ নার্সারী, দ্বিতীয় হয় বর্ণালী নার্সারী ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে ভাই ভাই নার্সারী। পুরষ্কার গ্রহন পরবর্তী সময় প্রথম স্থান অধিকারী নবীগঞ্জ নার্সারীর প্রোপাইটর- হেছাম উদ্দীন চিশতী তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে এসে বলেন, ‘আমরা এখানে হিন্দু, মুসলিম, খ্রীষ্টান বিভিন্ন ধর্মের মানুষ উপস্থিত রয়েছি আমাদেও সকল ধর্ম মতেই পূণ্যবান ব্যক্তিদের মৃত্যুও পর কোনো বিলাসবহুল স্থান উপহার দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। হিন্দু মতে স্বর্গ, মুসলিম মতে জান্নাত আবার খ্রীষ্টান মতে প্যারাডাইজ যে প্রতিটি শব্দের আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায় বৃক্ষ পরিবেষ্টিত স্থান। তাই আমাদের পৃথিবীটাকে সুন্দর করে সাজাতে আমাদের বেশী বেশী বৃক্ষ রোপন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমি মুক্তিযুদ্ধের আগে থেকে বৃক্ষ রোপন, উৎপাদন ও বিপণন করি। এ সময় তিনি বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথেও আমি বৃক্ষ রোপন করেছি। বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডী ৩২ নাম্বার বাড়িতে যে কাঁঠাল গাছটি রয়েছে সেটি আমি এবং জাতির পিতা এক সাথে রোপন করেছি।’
এই বিভাগের আরো খবর