বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

শিহাব-চুন্নুর শেল্টারে লামাপাড়া ও নয়ামাটিতে অস্ত্র-মাদক ব্যবসা

প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪ ডটকম) : ১৭টি মামলা কাঁধে নিয়ে আওয়ামীলীগের শীর্ষ এক নেতার আর্শিবাদে এখন প্রকাশ্যে মাঠ দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে এক সময়ের যুবদল নেতা সদর উপজেলার লামাপাড়া নয়ামাটি এলাকার মৃত. তালেব হোসেন পুইক্কার ছেলে র‌্যাব ও পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামী মোফাজ্জল হোসেন চুন্নু। স্থানীয় বাসিন্দারা চিহ্নিত ও দাগী অপরাধী অস্ত্র ব্যাবসায়ী ও মাদক বিক্রেতা চুন্নুরকে গ্রেফতার না করায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। নয়ামাটি ও আশপাশ এলাকাতে ব্যাপক তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, এক সময়ে লামাপাড়া এলাকার দুর্ধর্ষ কিলার রকমতের বহু অপকর্মের হোতা, কেস পাটনার ইস্রাফিল হত্যা মামলার আসামী মোফাজ্জল হোসেন চুন্নু এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে। শুধু তাই নয় প্রায় ৬ মাস আগে র‌্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত নারায়নগঞ্জের অন্যতম মাদক ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন দেলু ওরফে মাস্টার দেলুর সহযোগীদেরকে নিয়ে প্রতিদিন রাতের আধারে চুন্নুর বাড়িতে বসে অপরাধ, জুয়া ও মাদকের রমরমা আসর। মাস্টার দেলু সহযোগি শিহাবের সাথে যে অস্ত্র ব্যবসায়ী ও মাদক ব্যবসায়ী মোফাজ্জল হোসেন চুন্নু সাথে সুসম্পর্ক রয়েছে। পুলিশী হয়রানী থেকে বাচঁতে চুন্নু তার বাড়ির আশপাশ ও মুল সড়কে বসিয়েছে ১৬টি সিসি ক্যামেরা। অস্ত্র ব্যাসায়ী চুন্নু এমন কর্মকান্ডে প্রতিনিয়তই বিব্রত অবস্থায় থাকে স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা বলেন, লামাপাড়া ও নয়ামাটির আশপাশে এখনও মাদক ও অস্ত্রের রমরমা ব্যবসা চলছে চুন্নু শেল্টারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ব্যক্তি জানান, মোফাজ্জল হোসেন চুন্নু তার দল ভারি করতে মাস্টার দেলুর সহযোগি শিহাব (ছবিতে গোল চিহ্নিত), আকতারসহ সঙ্গীয় বাহিনীর সাথে যোগাযোগ চালাচ্ছে প্রতিনিয়ত। মাস্টার দেলু বাহিনীর সদস্যদের এলাকাতে ঘন ঘন যাতায়াতের আতংকে দিনাতিপাত করছে স্থানীয় বাসিন্দারা। তিনি আরো জানান চুন্নু প্রকাশ্যে এলাকায় বলে বেড়াচ্ছে, কোন পুলিশের ক্ষমতা নেই যে আমাকে গ্রেফতার করার। কারন আমার কাছ থেকে তারা সব সময়ই মাসোহারা নিচ্ছে তাছাড়া আমার পাশে এক বড়ভাই (মহানগর আওয়ামীলীগের এক নেতা ) আছে, সে থাকতে আমার কোন ভয় নেই। অস্ত্র ব্যবসায়ী ও মাদকের ডিলার চুন্নুর এমন উক্তিতে আমরা অনেকেই হতভম্ব। তিনি আরো জানান, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যানারে এক সময়ের পিটালীপুল এলাকার একটি রোলিং মিলের সামান্য কর্মচারী চুন্নু বিভিন্ন অপকর্মের মাধ্যমে কি পরিমান অর্থ-ভৈববের মালিক হয়েছে তা ও নিজে ব্যতিত কেউ জানেনা। বহু অপকর্ম করে চুন্নুর নয়ামাটিতেই রয়েছে ৫টি আলিশান বাড়ি এবং অস্ত্র ঠেকিয়ে কি পরিমান নিরীহ জমির মালিকদের জমি জোড় করে লিখে নিয়েছে তার কোন হিসেবে নেই। লামাপাড়া ও নয়ামাটি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের আশংকা আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা যদি দ্রুত অস্ত্র ও মাদক ব্যাবসায়ী চুন্নুকে গ্রেফতার না করে তাহলে চুন্নুর অস্ত্র ভান্ডারে রক্ষিত অস্ত্র দ্বারা যে কোন সময়ে এলাকাতে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। অনতিবিলম্বে চুন্নুকে গ্রেফতার করতে র‌্যাব-১১ ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
এই বিভাগের আরো খবর