শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

আমি ডিসি হিসাবে নয় একজন মানুষ হিসাবে সবার সহযোগীতা করতে চাই : রাব্বী মিয়া

প্রকাশিত: ২৩ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪ ডটকম) : জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে আলোচনা সভা ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৩ জুলাই) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া বলেন, আমি যা করি মন থেকে করি এবং যা কিছু বলি মন থেকে বলি। আমরা যদি নিজেরা নিজেদের সার্ভিস দিতে ব্যর্থ হই তাহলে অন্যদের সার্ভিস দিবো কি করে। আগে নিজেকে ঠিক করতে হবে। আমি এমন ভাবে কাজ করতে চাই যা আমার দারা সবাই উপকার হয়। আমি ডিসি হিসাবে নয় একজন মানুষ হিসাবে সবার সহযোগীতা করতে চাই। এ সময় তিনি বলেন একজন ভিক্ষুকের ও আমার সাথে দেখা করার অধিকার আছে। আমার কাছে সবাই সমান। কারো উপকার করতে পাররে আমার সব চাইতে ভাল লাগে। আল্লাহ আমাকে অনেক সন্মান দিয়েছেন সুন্দর একটি চেয়ারের ব্যবস্থ করেছেন এই চেয়ারের ও হক আছে তাই প্রত্যেকের উচিত নিজের অবস্থানে থেকে অপরের উপকার করা। আর এ হক আদায়ের মাধ্যমে সবাইকে সহযোগীতার মাধ্যমে হাত বাড়িয়ে দিতে পারলে পাবলিক সার্ভিসের দিবসটি স্বার্থকতা হবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সরোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার, এডিসি মোহাম্মদ রেজাউল বারী, উপপরিচালক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সমাজ সেবা পরিচালক মোহাম্মদ হেলালউদ্দিন, উপসহকারী পরিচালক মোঃ মামুনুর রসিদ, সহকারী মহা পরিচালক মোহাম্মদ মোতাহার হোসেন, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আশরাফুল আলম, সহকারী পরিচালক আসমা সুলতানা নাসরীন সহ  অনেকে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক আহম্মেদ বলেন, আমরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের উপকারে এগিয়ে আসা উচিত। তাহলেই পাবলিক সার্ভিস দিবসটির সার্থক হবে। যদি নিজের উপকারের কথা ভাবি তাহলে অন্যেরা উপকার থেকে বঞ্চিত হবে। তাই আমাদের প্রত্যেক  পুলিশ প্রশাসন কর্মকর্তাদের উচিত যারা নির্যাতিত তাদের পাশে এসে তাদের সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া। ডাঃ মোঃ শফিউল আলম বলেন, আমি তখনই নিজেকে একজন সেবক মনে করি যখন অন্যকে সেবা দানের মাধ্যমে উপকার করতে পারি। একজন রোগীকে যদি আমি অবহেলা না  করে সার্ভিস দিয়ে সুস্থ করে তুলতে পারি  তাহলে আমার স্বার্থকতা। আলোচনা শেষে নাসিমা খাতুন নামে এ অসহায় বিধবাকে বিধবা ভাতার চেক প্রদান করেন জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া।
এই বিভাগের আরো খবর