শ্যালিকাকে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে, গ্রেপ্তার

যুগের চিন্তা ২৪ ডটকম (বন্দর): ভগ্নিপতি কর্তৃক শ্যালিকা ধর্ষনের ভিডিও চিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানা মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা শ্যালিকা বাদী হয়ে লম্পট র্ধষক ভগ্নিপতি মুরাদকে আসামী করে বন্দর থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৩৫(৬)১৭ ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী) আইন ৯(১)তৎসহ ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এর ৫৭(২)। এ ঘটনায় পুলিশ সোমবার সকালে ঘারমোড়া কাজীপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে লম্পট ভগ্নিপতি মুরাদ (৩২)কে গ্রেপ্তার করেছে। জানা গেছে, বন্দর থানার ঘারমোড়া কাজীপাড়া এলাকার বজলুর রহমানের ছেলে মুরাদ মিয়ার সাথে ৭ বছর পূর্বে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দী থানার পশ্চিম কাউয়াদী এলাকার আব্দুল  কাদের দেওয়ান মিয়ার বড় মেয়ে আছমা আক্তারের সাথে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে লম্পট ভগ্নিপতি মুরাদ তার ছোট শ্যালিকার প্রতি কুদৃষ্টি দেয়। এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে শ্যালিকাকে অশ্লীল আচরন করে আসছে।  পারিবারিক কারনে লম্পট মুরাদের সাথে তার  স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি হলে ১ মাস পূর্বে গৃহবধূ  আছমা আক্তার তার ৫ বছরের শিশু আরাফাতকে নিয়ে  তার পিত্রালয়ে অবস্থান করে। গত ২৬ মে লম্পট ভগ্নিপতি মুরাদ তার শ্যালিকাকে মোবাইলে ফোন করে জানায় তার ছেলে আরাফাতের জন্য জামা কাপড় ক্রয় করেছে। শ্যালিকা তার মা ও বাবাকে জানিয়ে সরল বিশ্বাসে কাপড় নিয়ে যাওয়ার জন্য বন্দর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসলে ওই সময় লম্পট মুরাদ বন্দর কলাবাগ জনৈক সোবাহান ওরফে পরান বাবু দোতালা ভবনের নিচতলা ভাড়াটিয়া ফারুকের রুমে নিয়ে জোর পূর্ব ধর্ষন করে। এবং র্ধষনের ভিডিও চিত্র ধারন করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়। লম্পট মুরাদ শ্যালিকাকে ২ দিন একটি ঘরে আটক রেখে একাধিকবার র্ধষন করে। এবং গত  ২৮মে মুরাদ শ্যালিকাকে নানা ভাবে ভয়ভিত্তি দেখিয়ে বিয়ে করে। পরে গত ১৫ জুন শ্যালিকা কৌশলে উক্ত বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ লম্পট মুরাদকে উক্ত মামলায় গ্রেপ্তার করে সোমবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে ।