শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

বন্দরে তানিয়া হত্যায় মুন্নার আদালতে স্বীকারোক্তি

প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০১৭   আপডেট: ১৮ জুন ২০১৭

যুগের চিন্তা ২৪ ডটকম (বন্দর):  বন্দরে বেদে সম্প্রদায়ের মেয়ে তানিয়া হত্যার মূল ঘাতক মুন্না ওরফে টোকন (২৮) আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। রোববার দুপুরে  নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদুল মহাসিন এর আদালতে হত্যাকান্ডের স্বীকারোক্তি প্রদান করে খুনি মুন্না। যার মামলা নং- ৫৩(৪)১৭। ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ দঃবিঃ। শনিবার বিকেলে হত্যাকারি মুন্নাকে আদালত থেকে রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই রাতে পুলিশ ত্রিবেনী ও কাইকারটেক এলাকায় অভিযান চালিয়ে গিয়াসউদ্দিন মিয়ার ছেলে অপর ঘাতক আমজাদ হোসেন (৩৬) ও তানিয়ার মোবাইল ক্রেতা মোমেন (৪৫) কে  গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলমগীর সরকার জানান, আলমগীর হোসেন নিহত বেধের মেয়ে তানিয়া মোবাইল টেকিং করে ঘাতক মুন্নাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। নিহত বেধে তানিয়া গার্মেন্টেসে কাজ করার বন্দরের হরীবাড়ি এলাকার মৃত মমিন মিয়ার ছেলে মুন্না ও তার এক বন্ধুর সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে মুন্না ও তার বন্ধ আমজাদসহ আরো এক জন্য হত্যাকারি তানিয়াকে ফুসলিয়ে কাইকারটেক ঘাট এলাকায় নিয়ে আসে। পরে ত্রীবেনী গ্রামের নির্জন এলাকা এনে মুন্না ও আমজাদসহ তার ১ বন্ধু গণধর্ষনের পর শ্বাস রোধ করে হত্যা করে। এবং লাশ গুম করার জন্য উক্ত এলাকার স্বপন মিয়ার পুকুরে ফেলে দিয়ে তারা নিহত তানিয়ার মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যায়। ঘাতক মুন্না তানিয়ার মোবাইাল ফোনটি কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দী থানার বড়ঘাতপাড়া এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেন মিয়ার ছেলে স্বার্ণ ব্যবসায়ী মোমেন মিয়ার কাছে বিক্রি করে দেয়। পরে পুলিশ মোবাইলটি ট্রকিং করে প্রথমে মোমেন মিয়াকে আটক করে এবং মোবাইল বিক্রির সূত্র ধরে ঘাতক  মুন্নার তথ্যমতে অপর ঘাতক আমজাদকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার পুলিশ ধৃতকে রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে খুনি মুন্না আদালতে হত্যাকান্ডের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্ধী প্রদান করেছে। উল্লেখ্য গত ২৭ এপ্রিল পুলিশ ত্রীবেনী এলাকার একটি ডুবার ভিতর থেকে বেদের মেয়ে তানিয়ার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। ১ বৈশাখ থেকে তানিয়া নিখোঁজ ছিল।
এই বিভাগের আরো খবর