বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

লেখক যখন হাজির

প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : নারায়ণগঞ্জ বন্ধুসভার উদ্যোগে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ‘লেখক যখন হাজির’ শিরোনামে পাঠচক্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
 

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের শায়েস্তা খান রোডের বন্ধুসভার কার্যালয়ে এই পাঠচক্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৮ টায় প্রেসক্লাবের সামনে উপস্থিত হয়ে প্রভাতফেরিতে অংশগ্রহণ করে চাষাঢ়া শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে সংগঠনের সদস্যরা।
 

এবারের পাঠচক্রে বই নির্ধারণ করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ বন্ধুসভার উপদেষ্টা, সংস্কৃতিজন ও প্রাবন্ধিক রফিউর রাব্বির ‘নারায়ণগঞ্জে ভাষা আন্দোলন’ বইটি। পাঠচক্রে উপস্থিত থেকে ‘নারায়ণগঞ্জে ভাষা আন্দোলন’ নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। এসময় পাঠকের বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর দেন রফিউর রাব্বি।
 

ভাষা আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের মর্গ্যান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষিকা মমতাজ বেগমের অবদান উল্লেখ করে রফিউর রাব্বি বলেন, শাহানার বেগম খুকু (মমতাজ বেগমের মেয়ে) নামে একজনের চিঠি ছাপা হয় সেখানে মমতাজ বেগমের নাম লেখা হয়। তখন একটা কৌতুহল জাগে এবং তার সাথে সে সময় আমরা যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করি। এই মমতাজ বেগমের উপর তখন ছোট্ট একটা লেখা তৈরি করি। কিন্তু মমতাজ বেগম যে হিন্দু পরিবারের এবং সে সময় রবীন্দ্রনাথের সহযোগী প্রমথনাথ বিশির ভাগ্নি। তখন এ বিষয়টা জনসম্মুখে আসাতে আরও আগ্রহ তৈরি হয়।

 

রফিউর রাব্বি বলেন, আসলে ভাষা আন্দোলন বলতে আমরা বুঝি ১৯৫২ সাল কিন্তু ভাষা সংগ্রামটা এখানে যেটা উল্লেখ করা হয়েছে সেটা ১৯৪৭ সালের মে মাসে এটা নিয়ে লড়াইটা শুরু হয়। ১৭ মে খালিকুজ্জামান উর্দু একটা সম্মেলনে বললেন, পাকিস্তানের জাতীয় ভাষাটা উর্দু হবে। তখনই এটা নিয়ে বিতর্কটা শুরু হয়ে যায়।এটা পাকিস্তান হওয়ার আগেই। তখনকার সময়ে পূর্ব পশ্চিম পাকিস্তান মিলে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাষা ছিল বাংলা। এটা নিয়ে প্রচুর লেখালেখিও শুরু হয়। বুদ্ধদেব বসু থেকে শুরু করে অনেকেই এটা নিয়ে লেখালেখি শুরু করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পরেও এই বিতর্কটা চলতে থাকে।
রফিউর রাব্বি বলেন, এবিষয়টা আমি বইয়ের মধ্যে উল্লেখ করেছি। এজন্য সেটি করেছি কারণ ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বরে নারায়ণগঞ্জ থেকে পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছেল যে পত্রিকাটায় ড. এনামুল হকের একটা লেখা ছিল ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা কেন?’ এ লেখাটা তিনবারে প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল এবং প্রথমবার যখন প্রকাশ হয় তখন এটা মুসলিম লীগ সরাকার বাজেয়াপ্ত করে দেয়। তারা তখন ওই পত্রিকা ছাপানোর প্রেসটাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়।

 

তিনি বলেন, আমি এ তথ্যটা প্রথম পাই ১৯৯৬/৯৭ সালে। আলী আহাম্মদ চুনকা পাঠাগারে একটা অনুষ্ঠানে কবি আসাদ চৌধুরী আসে। তিনি আমাকে ধ্রুবতারা নামে একটি পত্রিকা দিয়ে বলে এই পত্রিকাটায় নারায়ণগঞ্জের তথ্য আছে একটা।  লেখাটা ছিল বরিশালের ভাষা সৈনিক মোশাররফ হোসেন নান্নুর একটা ইন্টারভিউ। ইন্টারভিতে তিনি বলছেন যেটা বলা হয়ে থাকে ভাষা আন্দোলনের শুরুটা আবুল কাশেম ফজলুল হকের মাধ্যমে তমুদ্দিন মজলিশের। কিন্তু এটা প্রকৃত অর্থে সূত্রপাত হয়েছিল নারায়ণগঞ্জে। তিনি প্রথম প্রেসের এই তথ্যটা দেন। তিনি ড. এনামুল হকের নামটা উল্লেখ করেছিলেন কিন্তু প্রেসের নাম পত্রিকার নাম এগুলো তিনি বলতে পারেনি।

রফিউর রাব্বি বলেন, পরে আমি যখন খোঁজ করি এই প্রেসের নামটা কী হতে পারে। কিন্তু তখন কেউ এর তথ্য দিতে পারেনি। মুন্সিগঞ্জের ডিসি ছিলেন একজন তিনি আমাকে একটা তথ্য দেয় ২০১০ সালে। তিনি জানান, ওই পত্রিকাটার নাম ছিল ‘স্ফুলিঙ্গ’ এবং প্রেসের নাম ছিল ‘বিজলী’। তিনি কতগুলো রেফারেন্স দিয়ে সেটা দেয়। আমি যাচাই করে দেখলা যে বিষয়টা সত্য এবং  নিরেট । এ প্রসঙ্গটা আমি এজন্য এনছি যে, ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকেই নারায়ণগঞ্জে এ আন্দোলনটা শুরু হয়।

 

রফিউর রাব্বি বলেন, আমি খুঁজে পেয়েছি ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি যখন করাচিতে অধিবেশনে প্রথম প্রস্তাব পাশ করতে চান যে, ইংরেজি এবং উর্দু এ দুই ভাষায় তারা বক্তৃতা দিতে পারবে। তখন ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত এর প্রতিবাদ করে বলেন যে, বাংলাকে সাথে রাখা হোক। তিনি যখন একট সংশোধনী প্রস্তাব দিয়ে বলেন যে, ৬ কোটি ৯০ লাখ মানষের দেশে ৪ কোটি ৪০ লাখ মানুষের ভাষা হচ্ছে বাংলা। সতরাং এটা অবশ্যই যুক্ত থাকা দরকার। তখন পাকিস্তানের গভর্নর  লিয়াকত আলী এবং পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী নাজিম উদ্দিন এর বিরোধিতা করলে তা বাদ হয়ে যায়। এ সংবাদটা পরদিন ঢাকায় আসলে তখন একটা উত্তেজন তৈরি হয়। এরপর ঢাকায় মার্চের শুরুতে ‘রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করা হয়। তারা মার্চের ৪ তারিখ তারা সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে মার্চের ১১ তারিখ তারা হরতাল ধর্মঘট ঘোষণা করে সার পূর্ব পাকিস্তানে। নারায়ণগঞ্জে এ ধর্মঘট পালন করার জন্য দুইদিন আগে থেকেই এর প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়। এরপর ১১ মার্চ আমাদের বঙ্গবন্ধু রোডের  ফুড অফিসের সামনে তারা বিক্ষোভ করে। এখানে লাঠি পেটা হয়, ধড়পাকড় করে।

 

রফিউর রাব্বি বলেন, আমাদের নারায়ণগঞ্জে ভাষা আন্দোলনটা তাত্ত্বিকভাবে শুরু হয় ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর মাসে। সারা বাংলাদেশে আন্দোলনটা শুরু হয় ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চের পর থেকে। এরপর ধারাবাহিকভাবে এ আন্দোলন নারায়ণগঞ্জে চলেছে। নারায়ণগঞ্জে প্রথম ভাষা সংগ্রাম কমিটি হয় ১৯৫২ সালের জানুয়ারির প্রথম দিকে। এর আহ্বায়ক হন দেওভোগের মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ (বন্দরের আহম্মেদ জুটেক্সের মালিক) এবং যুগ্ম আহ্বায়ক হন ডন চেম্বারের আজগর হোসেন ভূইয়া।

 

রফিউর রাব্বি বলেন, ২২ ফেব্রুয়ারি মুসলিম লীগের আবুল হাসিম এসেছিলেন রহমতউল্লাহ মুসলিম ইনস্টিটিউটের একটি সমাবেশে। তার কাছ থেকেই প্রথম নারায়ণগঞ্জের মানুষ শোনে যে ঢাকায় গুলি করা হয়েছে। তারপর ওই রাতেই নারায়ণগঞ্জে মিটিং হয়। সেখানে পুলিশ রেড দেয়। কিন্তু সবাই বলে যে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করবো। সে মিটিংয়ে একট সিদ্ধান্ত হয় যে ২৩ ফেব্রুয়ারি একটি সভা হবে। তখন ন্যাপের শফি হোসেন খানকে একটা দায়িত্ব দেওয়া হয় শ্রমিকদের জমায়েত করার জন্য। ২৩ ফেব্রুয়ারি এখনকার তোলারাম কলেজের এখানে যে সভা হয় সেখানে প্রায় ২০ হাজার লোক হয়েছিল। আসলে তখন থেকে ধারাবাহিকভাবে নারায়ণগঞ্জে এই আন্দোলন চলতে থাকে। কোন কোন কমূসূচি ছিল শুধু ঢাকায় আন্দোলন হবে। কিন্তু সেগুলো নারায়ণগঞ্জে হতো। ২১ ফেব্রুয়ারির পরে আন্দোলনটা ঢাকায় একটু কমে আসে। কিন্তু ২৯ ফেব্রুয়ারির নারায়ণগঞ্জের ঘটনাটা একটা বিস্ফোরণ ঘটায়। এটাকে কীভাবে থামানোর জন্য এটাকে হিন্দুদের একটা আন্দোলন বলে কীভাবে চালানো যায় । তখন মহুকুমা প্রশাসককে টেলিফোনে ঢাকা থেকে বলা হয় ২৫ জন হিন্দু ধরে আনো। তখন নয়ামাটি থেকে ২৫ জন হিন্দু ওয়ার্কার ধরে আনে। তখন মোট প্রায় ১২৫ জনকে ধরে আনা হয়। অনেকে আহত হয়ে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়।

 

রফিউর রাব্বি বলেন, ২৯ ফেব্রুয়ারির নারায়ণগঞ্জের ঘটনাটা একটা বিস্ফোরণ থামানোর জন্য নুরুল আমিন একটা ষড়যন্ত্র করে কালিরবাজারে এক পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যা করে এবং অন্য একজন আনসার সদস্যকে আহত করে। এবং তখন বলা হয় ভাষা সংগ্রামীরা ভারতের প্ররাচনায় এ কাজ করেছে। তখন ৩০ ঘন্টা কারফিউ জারি করে ব্যাপক ধড়পাকড় শুরু করে। কিন্তু যখন তার পোস্টমোর্টেম তখন যে বুলেটটা বের হয় তখন দেখা যায় এটি ছিল তৎকালীন ইপিআর এর ব্যবহার করা বুলেট। এ সময় মানুষ জানতে পারে যে এটা হচ্ছে একটা ষড়যন্ত্র।

 

তিনি বলেন, এই ঘটনার পর সারা দেশে আবার আন্দোলন উজ্জীবিত হয়। নারায়ণগঞ্জের আন্দোলনটা শুধু শহর কেন্দ্রিক ছিলনা। শহরের বাইরে নবীগঞ্জ, বারদীসহ বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই আন্দোলন হয়েছিল। নারায়ণগঞ্জের আন্দোলনের একট উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য আছে যেটা সারা পূর্ব পাকিস্তানের বৈশিষ্ট্য থেকে আলাদা। এখানে আন্দোলনে নারীদের এবং শ্রমিকদের ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ ছিল। নারীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ সম্ভব হয়েছিল মমতাজ বেগমের কারণে আর শ্রমিকদের অংশগ্রহণ হয়েছিল শহরের পাশে বিশাল একটা শ্রমিক অঞ্চল থাকার কারণে।

 

রফিউর রাব্বি বলেন, বইয়ের মধ্যে কিন্তু আমার নিজের কেনো কথা নেই। ইতিহাসের মধ্যে মনের মাধুরি মিশিয়ে কিছু বলার বা লেখার সুযোগ নাই। যে রেফারেন্স ব্যবহার করবে তা অথেনটিক কি-না তা দেখতে হবে। ইতহিাস সুখপাঠ্য হতে হবে তা নয়। ইতিহাস সত্য নির্ভর তথ্য নির্ভরে হতে হবে।

 

পাঠচক্রে রফিউর রাব্বি বলেন, নারায়ণগঞ্জের মসলিন প্রায় ৩ হাজার বছর আগে মিশর রোমসহ অনেক দেশে সমাদৃত হয়েছে গত এক হাজার বছরে সোনারগাঁ কয়েকবার রাজধানী হওয়ায় এই অঞ্চল শিল্প-শিক্ষা-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে প্রভূত সাফল্য অর্জন করেছিল। প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর আগে পিরামিডের মমি মসলিনের আচ্ছাদনের প্রমাণ পাওয়া যায়। ফরিদপুর, ঢাকা চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, ত্রিপুরা (কুমিল্লা), চট্টগ্রাম, শ্রীহট্ট (সিলেট) রাজধানী সোনারগাঁয়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল। দ্বিতীয় অধ্যায় প্রথমভাগ যেটা এটার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সর্ম্পকিত বিষয়াদি আছে। এটা পড়া আমদের জন্য খুব জরুরি। নারায়ণগঞ্জের বাইরের লোকজন এটুকু যদি পাঠ করে তাহলে নারায়ণগঞ্জের ইতিহাস ঐতিহ্য সে বুঝবে । নারায়ণগঞ্জ আজকে কালকের নয় হাজার হাজার বছরের।

 

পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাষা ছিল বাংলা। এরপরে ছিল পাঞ্জাবী, সিন্ধী, পশতু, বেলুচি । এগুলোকে রেখে কেন উর্দু ভাষাকে কেন রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব হয়েছিল এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উর্দু ছিল জিন্নাহর মাতৃভাষা এবং উর্দু ভাষার সাহিত্য ছিল সমৃদ্ধ। যা পাকিস্তানের অন্য কোন ভাষার ছিলনা। তাই হয়তো শাসক গোষ্ঠী চেয়েছিল এটিকে রাষ্ট্রভাষা করতে।

 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই বই লেখার জন্য মূলত আমকে কাজ করতে হয়েছে আগারগাঁওয়ের জাতীয় আর্কাইভে, আমাদের শাহবাগের জাতীয় গ্রন্থাগার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার। এসব জায়গায় রাখা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা থেকে এ তথ্য সংগ্রহ করেছি। তাছাড়া ধানমন্ডির ভাষা আন্দোলন গবেষণা কেন্দ্রেও কিছুদিন কাজ করতে হয়েছে।

 

‘নারায়ণগঞ্জে ভাষা আন্দোলন’ বইটি পড়ে পাঠচক্রে অংশগ্রহণ করেন, সংগঠনের সভাপতি রাসেল আদিত্য, সাবেক সভাপতি সাব্বির আল ফাহাদ, সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল উচ্ছ্বাস, যুগ্ম সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, উপ সাংগঠনিক সদস্য বেলায়েত হোসেন, দপ্তর সম্পাদক সৌরভ হোসেন সিয়াম, অর্থ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রশিক্ষণ সম্পাদক শামীমা রীতা, সদস্য-জহিরুল ইসলাম মিন্ট প্রমুখ। 
আলোচনার ফাঁকে গান পরিবেশন করেন সাহিত্য সম্পাদক লাম তানজীম তাফাননুন অরনী এবং আবৃত্তি পরিবেশন করেন পাঠচক্র সম্পাদক কিন্নরী বহতা।
 

প্রভাত ফেরি ও পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জহির আলম রুবেল, নারী বিষয়ক সম্পাদক আফসানা আক্তার, পাঠাগার সম্পাদক সিফাত হাছান সুমাইয়া। সদস্য-মৌন লাকী, শিউলি আক্তার, সুমাইয়া খাতুন, শরীফা আক্তার স্বর্ণা, সুমাইয়া বেগম সিমু প্রমুখ।
 

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল উচ্ছ্বাস জানান, ‘আমরা বন্ধুসভার সদস্যরা প্রতি মাসে একটি বই পড়ার কর্মসূচি আমাদের বার্ষিক পরিকল্পনায় অর্ন্তভুক্ত করেছি। এর অংশ হিসেবে আমরা ভাষার মাসে নারায়ণগঞ্জের ভাষা আন্দোলন সর্ম্পকে জানার জন্য আমদের সংগঠনের উপদেষ্টা ও সংস্কৃতিজন রফিউর রাব্বির ‘নারায়ণগঞ্জে ভাষা আন্দোলন’ বইটি নির্ধারণ করেছি। আগামী মাসে রনজিত কুমারের ‘মুক্তিযুদ্ধে কিশোর ইতিহাস, নারায়ণগঞ্জ’ বইটি পাঠ করবো। 

এই বিভাগের আরো খবর