মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

লকডাউন, ওপেন ডাউন হয়ে গেছে

প্রকাশিত: ৩ মে ২০২০  

আবারো বাড়ছে সাধারণ ছুটি। শেষ হবে কবে অনিশ্চিত। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধের ইঙ্গিত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত| কর্মহীন মানুষকেও ঘরে আটকে রাখা যাচ্ছে না। পেটের তাগিদে বিভিন্ন উপায়ে তারা রাস্তায় নামছে। এদিকে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে চলছে। উপরের চেয়ে ভেতরের চিত্র আরো ব্যাপক। আবার শোনা যাচ্ছে ভিআইপি জ্যামে আটকা পড়ছে অনেক নমুনা রিপোর্ট। নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও তেমন একটা বাড়েনি। বাড়লে হয়তো বুঝা যেতো পরিস্থিতির ভয়াবহতা।

 

ওদিকে সীমিত আকারে চালু হওয়া পোশাক কারখানা ধীরে ধীরে নিজস্ব মহিমায় ফিরে যাচ্ছে। লকডাউন, ওপেন ডাউন হয়ে গেছে অনেক জায়গায়। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিও জানালা দিয়ে উকি-ঝুঁকি মারছে কখন বাইরে যাবে।

 

রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যাও বাড়তেছে। বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম শুরু থেকেই। আর পাড়া-মহল্লার কথা নাই বা বললাম। কৃষকের ধান কেটে দেয়ার নামে ধান ক্ষেতেও ন্যাক্কারজনক উপস্থিতি আর ফটোশেসন।

মোটকথা কোথাও নিয়ন্ত্রণ নেই। শুধু নিয়ন্ত্রণ করা গেছে পবিত্র মসজিদ। সেখানে নিয়ম করে দেয়া হয়েছে কতজন যেতে পারবে। কিন্তু বাজার আর কারখানায় সমাগমের কোন নিয়ম করা যায়নি। মসজিদে যে যার মতো দুরুত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করে। আর বাজারে ও কারখানায় একজন পারলে আরেকজনের উপর গিয়ে পড়ে। মুসুল্লিরা নামাজ শেষে যে যার মতো চলে যায়।

 

অল্প সময় তারা মসজিদে অবস্থান করে। আর বাজার ও কারখানায় দীর্ঘ সময় অবস্থান করে মানুষ। এতে যদি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি না থাকে তাহলে মসজিদেও থাকার কথা নয়। তাছাড়া পরিস্থিতি এখন এমন দেখা যাচ্ছে মসজিদে লোক নাই আর সব জায়গায় লোক আছে।

 

সবশেষে বলবো হাট-বাজার আর পোশাক কারখানায় লোকসমাগম রেখে আল্লাহর ঘর মসজিদ নিয়ন্ত্রণ ভালো দেখাচ্ছে না। তাই মসজিদের বিষয়টি ভেবে দেখার জন্য বিনীত অনুরোধ সংশ্লিষ্টদের কাছে। আল্লাহ মহান, তিনি সব দেখছেন। তিনিই মানবজাতিকে রক্ষা করবেন। তিনি দয়াশীল, ক্ষমাশীল।

 

(সাংবাদিক ও মানবধিকার কর্মী, বিল্লাল হোসেন রবিন এর ফেসবুক স্টেটাস থেকে নেয়া)

এই বিভাগের আরো খবর