শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মীরু বাহিনী ফের বেপরোয়া

প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

যুগের চিন্তা রিপোর্ট : এবার মীর হোসেন মীরু বাহিনীর ১৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শান্ত নামের একজন ফার্নিচার ব্যবসায়ী। ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে ফতুল্লা মডেল থানায় তিনি ওই অভিযোগটি দায়ের করেন। 


অভিযুক্তরা হলেন, পাগলা বউবাজার বটতলা এলাকার ফজল করিমের ছেলে মো. রহমান, দিদার মিয়ার ছেলে আবির, আনসার আলী খানের ছেলে বশির, আসু সিকদারের ছেলে ভিপি রাজিব, আরিফ, মৃত রবিউলের ছেলে হাবুল্লা, রাজ্জাকের ছেলে রাজু, হাকিমের ছেলে সজিবসহ অজ্ঞাত আরও ৮ জন


তারা সকলেই কুতুবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর হোসেন মীরু বাহিনীর সদস্য, লিখিত অভিযোগে এমন দাবি করেছেন শান্ত। তিনি রসূলপুর নিউ মডেল স্কুল সংলগ্ন মো. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে এবং একই এলাকার ফার্নিচার ব্যবসায়ী।


শান্ত জানিয়েছেন, বুধবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে তিনি উল্লেখিতরা তার গতিরোধ করে এবং পুলিশের কাছে তাদের অপকর্মের কথা জানায় কেন, এ নিয়ে তাকে প্রথমে হুমকি ধামকি প্রদান করে। এক পর্যায়ে তারা লাঠিসোটা দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।


তিনি দাবি করেছেন, সন্ত্রাসীরা সবাই চিহ্নিত সন্ত্রাসী মীর হোসেন মীরু বাহিনীর সদস্য। তারা আমাকে মারধর করে মোবাইল ফোন ও নগদ সাত হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।


এদিকে এ ব্যাপারে কুতুবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর হোসেন মীরু সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। 


সরেজমিনে এসে সাধারণ মানুষদেরকে জিজ্ঞাসা করলেই এর প্রমাণ পাবেন। এর আগেও আমার বিরুদ্ধে এমন একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়। এসব ঘটনার কোথাও আমি জড়িত নই।


এদিকে ফার্নিচার ব্যবসায়ী শান্ত’র অভিযোগটি ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ আমলে নিয়ে তা তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) শুভ আহম্মেদকে। তিনি বলেন, অভিযোগের কাগজটি রাতে আমার হাতে দেওয়া হয়েছে। বেশি রাত বলে যেতে পারিনি। তবে আজ যাবো। তদন্ত করে বাকি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রসঙ্গত, নানা ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে ব্যাপকভাবে সমালোচিত মীর হোসেন মীরু। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, মাদক ও চাঁদাবাজিসহ ফতুল্লা মডেল থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। বিদায়ী এসপি হারুন অর রশীদের সময় তাকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতারও করেছিলো। 


পরে জামিনে বের হয়ে ঢাকায় আত্মগোপন করেন মীরু। দীর্ঘদিন তার অনুস্থিতিতে কুতুবপুর বউবাজার, বটতলাসহ আশপাশের এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় ছিল।


সম্প্রতি তিনি এলাকায় ফিরে আসলে এলাকাবাসী তাকে বাধা দেন। সৃষ্টি হয় উত্তেজনা। পরে ফতুল্লা থানার ওসি উভয় পক্ষকে ডেকে নিয়ে সমঝোতা করে দেন। এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্ন করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও তিনি স্পষ্ট করেন।

এর কয়েকদিন যেতে না যেতেই মীরু বাহিনীর লোকজন আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠে। যার দরুন বুধবার থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী।
 

এই বিভাগের আরো খবর