শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

মিলন মাহমুদের একগুচ্ছ কবিতা

প্রকাশিত: ৪ অক্টোবর ২০১৯  

জাতিসংঘ আমার প্রেমিকা না

প্লিজ আমাকে জাতিসংঘ মার্কা প্রেম নিবেদন থেকে বিরত থাকো,
উন্নয়নশীল তকমা আমার ঘরে বড়জোর একটা
পদকের স্বাদই দিতে পারে,
কিন্তু প্রশান্তির ঘুম এনে দিতে পারে না।

 

জানি, আমার মতন অনেকেই এমন একটি নির্ভেজাল ঘুম খুঁজে খুঁজে হয়রান হচ্ছে!
আজকাল আমার কথিত প্রেমিকাও অনুরূপ 
উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে,
খুব শীঘ্রই সেও জাতিসংঘ হয়ে উঠবে।

 

মতলব থেকে মতলবগঞ্জ

এইবার আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ
দেখা মাত্রই খুলে দেবো দরজা,
অথবা সাহস করে বলে ফেলবো ভালোবাসি।

 

সংসার ঘুরে দেখেছি এখানকার আয়োজনে
যুদ্ধবাজ সৈনিক হওয়ার চেয়ে প্রেমিক হওয়া
কষ্টসাধ্য,
তাই নতুন ফন্দি দিয়ে বাঁধতে চেয়েছি
কবিতা না গদ্য!

 

আমার এই মতলব ধীর পায়ে চলে যাচ্ছে 
মতলবগঞ্জ।

 

রাফ

হৃদয়ের আর কোনো রাফ নেই
এখানে নেই জটিল কাটাকুটি,
হিসেবের সমীকরণ জোর করে মিলাবার বৃথা চেষ্টা।

 

তারচেয়ে অসমীকরণ খসড়া নিয়ে সন্তুষ্ট থাকি
কারণ ভুল রাফে ভরে উঠেছে সাদা কাগজ,
যেখানে তুমি আর তুমি থাকো না।

 

হয়তোবা মিশে গেছে সরল অনিশ্চিত ফলে
এই ভাবে পড়ে আছি চেনা চেনা ভুলে।

 

নমিনেশন

কোনো কপট পার্লামেন্টে 
না, কেবল প্রিয়তমার হৃদয়ে
নমিনেশন চাই!

 

একটি মধ্যবিত্ত প্রেমের গল্প

ডার্লিং প্রচণ্ড গরম!
একটা আইসক্রিম খাবো প্লিজ।
সম্ভব না, 
তাপমাত্রায় পকেট গলে গেছে
এখন চিনি মিশ্রিত পানি হবে।

 

আমি আগেই টের পাইছি,
তোমার বহুমুত্রীয় ঝামেলা আছে,
তাইতো তোমার জন্য এই ব্যবস্থা,
কমন শরবত!

 

না, আমি এখন পিঁপড়া হতে পারবো না।