শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

মহানগর বিএনপির ১ মিনিটের সমাবেশ 

প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদ ও ভারতের সাথে সম্পাদিত চুক্তি বাতিলের দাবিতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আয়োজিত নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির জনসমাবেশ পুলিশের বাধায় ১ মিনিটের মধ্যেই পণ্ড হয়ে গিয়েছে।  

 

শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের পেছনে ৪১, চাষাঢ়া বালুর মাঠে মডার্ন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের সামনে জনসমাবেশের জন্য জড়ো হতে থাকে শুরু করে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা। শুরুতে পুলিশ ৩০ মিনিটের মধ্যে সমাবেশ শেষ করার কথা বললেও মাত্র ১ মিনিটের মধ্যেই সমাবেশ পণ্ড করতে বাধ্য করে বলে অভিযোগ করেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল। তিনি বলেন, পুলিশ বলে দেয় সমাবেশে মাত্র ১ জন বক্তব্য দেয়ার সুযোগ পাবেন।  

মাত্র ১ মিনিট স্থায়ী সমাবেশে শুধুমাত্র বক্তব্য দিয়েছেন মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট আবুল কালাম। তিনি বলেন, ‘আবরার ফাহাদ হত্যার মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণ হলো এদেশের মানুষের বাক-স্বাধীনতা নেই। সরকার ভারতের সাথে দেশ বিরোধী চুক্তি করেছে অথচ আমরা সাধারণ মানুষ এর প্রতিবাদ করতে পারছি না। প্রশাসনকে দিয়ে আমাদের কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে। এতেই প্রমাণ হয় দেশের মানুষ আজ পরাধীনতার ধু¤্রজালে বন্দী। আমরা মেধাবী ছাত্র আবরার হত্যাসহ ভারতের সাথে দেশবিরোধী চুক্তির প্রতিবাদ ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানাতে এখানে একত্রিত হয়েছিলাম কিন্তু অস্বাভাবিকভাবে আমরা এখানে পুলিশী বাধার মুখে পড়ে গেলাম।’

বক্তব্য শেষ হতে না হতেই পুলিশ মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের সেখান থেকে চলে যেতে বলেন।  মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউসার আশা ও মহানরগ ছাত্রদলের সভাপতি শাহেদ আহমেদের নেতৃত্বে উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক নেতাকর্মী মহানগর বিএনপির সমাবেশে যোদদেয়। পুলিশের কথা মতো মাত্র ১ মিনিটের মধ্যে মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু ইউসুফ খান টিপু  নেতাকর্মীদের সরে যেতে বললে এসময় মহানগর বিএনপির সেক্রেটারি এটিএম কামাল তার সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এসময় মহানগর বিএনপির সভাপতিসহ নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। কিন্তু তখনও বাকবিতন্ডা চলছিল এটিএম কামাল ও আবু আল ইউসুফ খান টিপুর মধ্যে। পুলিশের সাথে সময় নিয়ে কথাবার্তা নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ বাকবিতন্ডা চলে তাদের দুইজনের মধ্যে। সমাবেশে দেখে গেছে মহানগর বিএনপির বিতর্কিত সহসভাপতি আতাউর রহমান মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত হাশেম শকু এবং দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকারকে। তাদের তিনজনের বিরুদ্ধেই সরকার দলীয় লোকজনের আতাঁত করার অভিযোগ রয়েছে নেতাকর্মীদের। 

নেতাকর্মীরা চলে যাওয়ার পর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল সাংবাদিকদের বলেন, বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার দাবিতে আজকে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ এসে মূহুর্তের মধ্যে একটি আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী করলো। আমাদের সমাবেশ করতে বাধা দিলেন। মাত্র ১ মিনিটের সময় দিয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিলো। অথচ তারা বলেছিলো সময় দেয়া হয়েছে ৩০ মিনিট। এটা কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা গভীর ভাবে এর প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানাই।

সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, ফখরুল ইসলাম মজনু, আয়সা সাত্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, আবু আল ইউসুফ খান টিপু, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন, মনিরুল ইসলাম সজল, কোষাধক্ষ মনিরুজ্জামান মনির, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউছার আশা, সহসভাপতি ফারুক চৌধুরী, মোস্তাক আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, আব্দুল হাসিব, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি শাহেদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু, সহসভাপতি শাহিন শরীফ, শফিক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোক্তাধির হোসেন হৃদয়, মহানগর শ্রমিক দলের আহবায়ক এস এম আসলাম, সদস্য সচিব আলী আজগর, যুগ্ম আহবায়ক মনির মল্লিক, ফজলুল হক, মহানগর বিএনপি নেতা রফিক আহমেদ, রিয়াজুল ইসলাম আজাদ, আনিছুর রহমান মোল্লা, হাজী ফারুক হোসেন, সোলেমান, নজরুল ইসলাম সরদার, জাহাঙ্গীর মিয়াজী, মাহামুদুল হাসান মাসুম, আব্দুর রহমান, আলি আকবর, মধু, মানিক বেপারী, কৃষক দল নেতা কামরুল হাসান ছাউদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 

এই বিভাগের আরো খবর