শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ফুটপাত ফের ‘হকারদের’ দখলে !

প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

যুগের চিন্তা রিপোর্ট : বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাত নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড ঘটেছে বেশ কয়েকবার। দফায় দফায় হয়েছে আলোচনা। ছিল পুলিশের চোখ রাঙানি, চলেছে উচ্ছেদ। উন্মুক্ত ফুটপাতের দাবিতে অবৈধ হকারদের তাড়াতে নেমে নাসিক মেয়র ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভীর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। 


এঘটনায় মামলাও হয়েছে। সিটি করপোরেশন থেকে ৬৮৩ জন হকারকে পুনর্বাসন করলেও তাদের নিকটাত্মীয়রাই ফের বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাত দখল করেছে। উচ্ছেদ করতে চাইলেও নানা বাহানায়, নানা দাবিতে বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাতই দখল করে রেখেছেন তারা। 


অপরদিকে হকার্স মার্কেটের কিছু দোকান বাদে বেশিরভাগগুলোই ব্যবহার হচ্ছে গোডাউন হিসেবে। বঙ্গবন্ধ সড়কের ফুটপাতমুক্ত রাখতে আপাতত কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকা রাখছে। যার ফলে বিড়ম্বনার নিয়তি বরণ করে নিতে হচ্ছে নগরবাসীকে।  


এদিকে সম্প্রতি গেল বছর বঙ্গবন্ধু সড়কে ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে দারুণ ভূমিকা রাখা পুলিশ প্রশাসনও আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে। সম্প্রতি জেলা আইনশৃঙ্খলা  কমিটির মাসিক সভায় পুলিশ সুপার যায়েদুল আলম জানিয়ে দিয়েছেন, শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কসহ আশেপাশের ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে কোন দপ্তরের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা না থাকলে যেঁচে কাজ করবেনা। 


তিনি বলেন,‘সিটি করপোরেশন এলাকায় ফুটপাত দখলমুক্ত করতে পুলিশ চাইলে সাথে সাথে পুলিশ দেবো। তবে সার্বক্ষণিক ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে পুলিশ যেঁচে কাজ করবেনা। সবদপ্তরের চাহিদা মোতাবেক পুলিশ পাঠানো হবে। পুলিশ একা কোন কাজ করবেনা। কেননা পুলিশের মূল কাজ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা।’


আইনশৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার পাঁচদিন পর সরেজমিন বঙ্গবন্ধু সড়কে ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের দুইপাশের ফুটপাতে যত্রতত্র হকাররা দখল করে নিয়েছে। রাস্তার পাশের দোকানগুলোও ফুটপাতে প্রসারিত হয়ে মালামালের পসরা সাজিয়ে বসেছে। 


কালেভাদ্রে পুলিশের গাড়ি চলতে দেখে হকাররা কিছু উঠে যাওয়ার ভান করলেও আরেকপাশে গিয়ে বসছে, বঙ্গবন্ধু সড়কের আশপাশের সড়কগুলোও হকারে ঠাসা। হকারদের বেঁচাবিক্রিতে মানুষের ফুটপাত দিয়ে হাঁটা দায়। বাধ্য হয়ে সড়কে নেমে পড়তে হয়, মানুষ যানবাহন পাশাপাশি চলায় যানজট বাড়ে নগরীতে। সন্ধ্যার পর হকারদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়ে গোটা শহরের নগরবাসী।    


পথচারীরা  ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, নগরীর চাষাড়া মোড়ের সোনালী ব্যাংক এর সামনে থেকে নগরীর ২নং রেলগেট পর্যন্ত হকারর ফুটপাতে চৌকি পেতে দখল করে বসে পড়ে। মানুষের হাঁটাচলা করা দায় হয়ে পড়ে।  চলচলের সময় নারীরা নানা ধরনের ইভটিজিংয়ের স্বীকার হচ্ছেন! ফুটপাত হকারদের দৌরাত্ম বন্ধ করা হচ্ছে না? 


নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, ‘হকারদের বিষয়টি আমরা সর্বেচ্চ গুরুত্ব সহকারে দেখি। তাদেরক উচ্ছেদ করার পরও তারা আবার বসে পড়ে। যদিও নির্দেশনা কোন অবস্থাতেই ফুটপাতে হকার বসতে পারবে না।’
 

এই বিভাগের আরো খবর