বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

দৌঁড়ঝাপ করেও পদ বঞ্চিত এমপি বাবু !

প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) :দৌঁড়ঝাপ করেও ঢাকা দক্ষিন যুবলীগের সভাপতির পদে স্থান পেলেন না নারায়ণগঞ্জ-২, আসন আড়াইহাজারের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু। দক্ষিন যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন স¤্রাটকে বহিস্কারের পর পদটি শূন্য হয়ে যায়। 


সভাপতি পদে স্থান পেতে জোর তৎপরতা চালিয়ে ছিলেন এমপি বাবু। তবে কাঙ্খিত পদে তাকে রাখা হয়নি। এদিকে থানা আওয়ামী লীগে সভাপতি পদ নিয়েও রয়েছে নানা গুণজন। এতে ক্রমেই হত্যাশার কালো অন্ধকার যেন ঘিরে ধরছে তার অনুগত নেতাকর্মীদের। 


এদিকে তার হয়ে সম্প্রতি সাংবাদিক সস্মেলন ও স্থানীয় উচিৎপুরা এলাকায় পথসভা করে বেকায়দায় পড়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান হেলো সরকার। তিনি জেলা কমিটির সুপারিশে উপজেলা চেয়ারম্যান মনোনয়ন পেয়ে ছিলেন। এখন তিনি (হেলো) নিজেই অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন। হঠ্যাৎ তার আচরণে হতবাক হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। 


২ ডিসেম্বর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগের দুইনেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করায় তাকে সতর্ক করা হয়েছে। সব মিলে গত কয়েক দিন ধরেই থানা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এক ধরনের নিব্ধস্তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। 


এদিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেতে এমপি বাবু দৌঁড়ঝাপ করছেন বলে বিভিন্ন মহলে আলোচনা হচ্ছে। তবে তিনি আদৌস্থান করে নিতে পারবেন কিনা তা নিয়েও তৃণমুল নেতাকর্মীদের সংশস ও উৎকণ্ঠা রয়েছে। 


গত কাউন্সিলেও তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেতে লবিং করেছিলেন। তার নির্বাচনি এলাকা থেকে শত শত নেতাকর্মী নিয়ে তিনি ঢাকায় মিছিল নিয়ে গিয়েছিলেন। 


এদিকে অনেকের প্রশ্ন সাবেক তোখড় এ ছাত্রনেতা কেন বারবার পদ-পদবি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তার প্রতি হঠ্যাৎ কেনোবা নাখোশ হয়ে পড়েছেন আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। তবে এনিয়ে থানা আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই কথা বলতে নারাজ। অনেকেই জানিয়েছেন, ২৬ নভেম্বর স্থানীয় দুবাই প্লাজায় অনুষ্ঠেয় সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত একটি বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার। 


যিনি এক সময় এমপি বাবুর গোর বিরোধীতায় ছিলেন। ভোল্ট পাল্টে ও সুবিধা নিতে একই ব্যক্তি এখন বাবু বন্দনা করে যাচ্ছেন। সাংবাদিক সম্মেলনের পর থেকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মিশ্রপতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। হেলো সরকার সাংবাদিকদের কাছে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমান পাগলা বাচ্চু ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইকবাল পারভেজকে অনুপ্রবেশকারী ও দুস্কৃতিকারী বলে আখ্যায়িত করেছেন। এমনকি তাদের বহিস্কারেরও দাবি তোলা হয়। 


একই দিনে এমপি বাবু নিজেও ঢাকায় ‘রিপোটার্স ইউনিটি’ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এদিকে আড়াইহাজারে থানা কমিটি নিয়েও নানা গুণজনের ঢালপালা মেলতে শুরু করেছে। থানা কমিটির পূর্ণগঠন নিয়ে রীতিমতো দ্রুমজালের সৃষ্টি হয়েছে। ১৫ বছর পর চলতি বছরের ২২ জুলাই থানা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল হয়। 


স্থানীয় এসএম মাজহারুল হক অডিটরিয়ামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। থানা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে ৩৮৭ জন কাউন্সিল তাতে অংশ নেন। সেদিন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে যান স্থানীয় এমপি নজরুল ইসলাম বাবু। 


তবে র্দীঘ সময় অতিবাহিত হলে গেলেও এমপি বাবু থানা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি আলোর মুখ দেখেনি। এ কমিটিতে স্থান পেতে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী ছিলেন সাবেক ভিপি জুয়েল ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য খোরশীদ আলম। অনেকেই মন্তব্য বলেছেন, সব মিলে নেতাকর্মীরা প্রতিটি বিষয়ের ওপর তিকè দৃষ্টি রাখছেন। এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু বলেন, আড়াইহাজার থানা আওয়ামী লীগে চমক আসছে। অপরদিকে অনুপ্রবেশকারীদের একটি তালিকাও আমাদের কাছে রয়েছে। 
 

এই বিভাগের আরো খবর