বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

কারফিউ থেকে আলাদা কি লকডাউন ?

প্রকাশিত: ৫ এপ্রিল ২০২০  

যুগের চিন্তা রিপোর্ট : করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বাড়ানো হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে সর্বমোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১১ জন বলে জানিয়েছেন আইইডিসিআর। এরমধ্যে দুইজন মারা গেছেন, তিনজন সুস্থ্য হয়ে ফিরেছেন বাকিরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দেশের করোনা রোগী সন্দেহের তিনজনের দুইজনই ছিলেন নারায়ণগঞ্জের। তাও আবার সিটি করপোরেশন এলাকার ভেতর। করোনায় আক্রান্ত হতে মারা যাওয়া ব্যক্তি এবং চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসার ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। কয়েক ঘন্টাতেই পাল্টে যাচ্ছে পরিস্থিতি। নতুন নতুন এলাকা লকডাউনের ঘোষণা আসছে। এরই ভেতর মানুষের জীবন রক্ষার্থে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সার্বিক বিবেচনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী জরুরি ভিত্তিতে সিটি করপোরেশন এলাকা লক ডাউন কিংবা কারফিউ জারি করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্যথায় করোনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

 

রোববার (৫ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল আমিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান। 
কারফিউ জারি আর লক ডাউনের মধ্যে কোন পার্থক্য রয়েছে কিনা আসুন জেনে নেই। 

 

কারফিউ কী ?

 

কোনো একটা নির্দিষ্ট সময়ে চারজনের বেশী মানুষকে একত্রে কোনো পাবলিক প্লেসে জমায়েত হওয়া থেকে বিরত রাখার জন্য কারফিউ জারি করা হয়। কোনো জায়গাতে দাঙ্গা বা জনরোষ যখন ভয়ঙ্কর রূপে দেখা দেয় আর পুলিশ জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে অসমর্থ হয় তখন এই আইন জারি করে। সমস্যার মাত্রার ওপর কাউফিউ এর সময়কাল নির্ধারণ করা হয়।
কোনো কোনো জায়গায় রাতে কারফিউ লাগে. কোনো জায়গাতে দিনে কয়েক ঘন্টার জন্য জারী করা হয় কোনো কোনো সময় অল্প সময়ের জন্য কারফিউ তুলে দেওয়া হয় যাতে মানুষ নিজের বাজার-হাটের ব্যবস্থা করে ফেলতে পারে। সবাইকে বাড়ীর ভেতরে থাকার আদেশ দেওয়া হয়ে থাকে। এই কারফিউ দেয়ার কারণ হলো কেউ যেন ঘরের বাইরে জমায়েত হয়ে দল বেঁধে আবার কোনো অশান্তির সৃষ্টি করতে না পারে।

 

লকডাউন কী?

 

লকডাউন একটি জরুরী ব্যবস্থা, যেটা সামান্যভাবে মানুষকে একটি নিশ্চিত এলাকায় থাকার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সামান্য ভাবে এই প্রটোকলের শুরু প্রশাসন দ্বারা করা হয়। এর ঘোষণা জন সাধারণকে বড় দুর্যোগ থেকে বাঁচানোর জন্য করা হয়। ফুল লকডাউনের মানে, মানুষ নিজের ঘর থেকে বের হতেই পারবে না। মেডিকেল এমার্জেন্সি আর খুব দরকারি না হলে কোনমতেই ঘর  থেকে বের হওয়া যাবেনা। লকডাউনে সরকারের সবথেকে বড় উদ্দেশ্য হল, মানুষ যেন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় না যায়, বিশেষ করে সরকার দ্বারা দেওয়া আদেশকে কড়াভাবে আমল করা। সংক্রমণ আটকানোর জন্য যেই যেই উপায় স্থানীয় প্রশাসন  নেবে, সেগুলোতে আমল করা খুবই জরুরি।
 

এই বিভাগের আরো খবর