শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

করোনায় আমাগো রিজিক খাইয়ালাইছে!

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২০  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে দুইজনের মৃত্যুর পর এর প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে নেয়া হচ্ছে নানামুখী উদ্যোগ। তবে করোনার প্রভাব পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের উপরও। করোনায় সড়কে মানুষের আনোগোনা কমে গেছে, নেই ফুটপাত কিংবা মার্কেটগুলোতে ব্যস্ততা। দিন এনে দিন খান এমন লোকজন পড়েছে বেকায়দায়। দিনে আয় হতো ২০০ থেকে ৫০০টাকা এমন মানুষের এখন খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকাই দায়। তবে এটুকুও তারা বুঝতে পারছেন বেঁচে থাকতে হলে সতর্কতারও কোন বিকল্প নেই।

 

রোববার (২২ মার্চ) দুপুরে শহরের বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, এইতো কয়েকদিন আগে যেসময়টা তারা কর্ম ব্যস্ততার মধ্যে সময় পার করতে হতো। এখন সেই সময়টাতে তারা অলস সময় পার করছে। বিশেষ কাজ ছাড়া বাসা থেকে বের হতে বারণ থাকলেও পেটের দায়ে তা মানার সুযোগ নেই।

রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন শরীয়তপুরের লিটন। তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, ভাই আগের মত রাস্তায় তেমন যাত্রী নাই। অনেকক্ষণ বসে আছি কোন যাত্রী পাই না। তাই বন্ধুর সাথে বসে বসে আড্ডা দিতাছি।

 

বরিশাল জেলার উজির পুর থানার বাসীন্দা আবদুল ওহাব মিয়া  রিক্সা চালানা নারায়ণগঞ্জে। তিনি বলেন, সারা দিনে ভাই ১২০ টাকা কামাইছি, মালিক’রেই কি দিমু, আর আমিই বউ পোলাপান লইয়া কি খামু ! করোনায় আমাদের রিজিক খাইয়ালাইছে। আর বেশি দিন যদি এমন থাকে এহানে থাহা যাইবো না। গ্রামে চইলা যাইতে অইবো আর গ্রামেই গিয়াই বা কি করমু!

 

উকিলপাড়া মোড়ে কাজ না থাকায় এক ভ্যানচালক ভ্যানে উপর শুয়ে ঘুমাচ্ছে তার পাশেই ‘জননী হোসিয়ারী’ ব্যবসায়ী মোবাইলে ওপর প্রান্তে কথা বলছে,  করোনার কারণে ব্যবসায় মন্দা অবস্থা আছে, কয়েক সপ্তাহে পরে বুঝা যাইবো, অহন কিছু বুঝা যাচ্ছে না। বেয়াকায়দায় আছে ব্যবসা।

গাইবান্দার ফুল মিয়া রিক্সা চালানা টানবাজারে। তিনি এই প্রতিবেদক বলেন,  গতকাল আধা (অর্ধ) বেলা পর্যন্ত ২০০ টাকা পাইছি যেখানে আগে দিনে ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা কামাইতে পারতাম। আইজ দুপুরে বের হইছি ১৫০ টাকা কামাইছি আপনারে আধা ঘন্টা পর পাইছি। এমনেতই স্কুল-কলেজ-কোচিং বন্ধ করা হয়েছে। তাই আগের মত যাত্রী পাই না। এর কম কয় দিন থাকে কে কে জানে।

এই বিভাগের আরো খবর